বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার ব্যুরো: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির আমলে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানী দেয়া হতো মাত্র তিন হাজার টাকা। অপরদিকে ক্ষমতায় এসে দেশরত্ম শেখ হাসিনা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও সম্মানী বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধাকে সরকার ১০ হাজার টাকা করে সম্মানী ও বছরে দুটি ঈদ বোনাস দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সম্ভব সব ধরণের কর্মসুচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার ইতোমধ্যে সিদ্বান্ত নিয়েছে আগামী থেকে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বছরে পাঁচটি বোনাস দেবে। গত বুধবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাটস্থ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালি স্কুল এন্ড কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে পাচার করা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এসব টাকা জাতির সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করেছে সরকার।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামীতেও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সফল রাষ্ট্রের খেতাব অক্ষুন্ন রাখতে হলে আবারও আওয়ামীলীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে হবে। মানবতার নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে পুণরায় প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষা উপদেষ্ঠা এম মামুনুল হক। মানপত্র পাঠ করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ খালেদ।
কল্যাণ ট্রাস্টের উপদেষ্টা জামাল উদ্দিন জয়নালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক সাংসদ মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদ, চকরিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান,প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।