Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কম্বল খেকো চেয়ারম্যানের ইতিকথা!!!

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা: নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা, শীতার্তদের কম্বল, এলজিএসপি ফান্ড এর টাকা, পরিষদের আদায়কৃত কর ও ১% (ওয়ান পার্সেন্ট) টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ৪জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ সকল দূর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার শীতার্ত হতদরিদ্রদের জন্য উপজেলা থেকে ৩০০ কম্বল বরাদ্ধ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী ইউপি সদস্য নাসির আহমেদ, আবুল খায়ের, আলমগীর কবির ও কামাল হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী বরাদ্ধকৃত কম্বল বিতরণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ও সদস্যদের উপেক্ষা করে তার পছন্দের লোকদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়া দায়িত্ব গ্রহনের পর গত ২ বছরে তিনি মাত্র একটি সভা করেন। পরিষদের যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে সভা ডেকে ১২জন সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান তার একক সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে সরকারি টাকা হরিলুট করেছেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এলজিএসপি’র কাজ তার একক সিদ্ধান্তে পরিষদের বাইরের লোকজন দিয়ে নামে মাত্র কাজ করিয়ে সরকারের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান তাকে হতদরিদ্রদের প্রকল্পের আড়াই লাখ টাকার প্রজেক্টের সভাপতি করে তার থেকে স্বাক্ষর নিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করে পুরো টাকাই তিনি পকেটস্থ করেছন। এছাড়া হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকার কাজ স্থানীয় হতদরিদ্র লোক দিয়ে না করিয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লোকজন দিয়ে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। ইউপি সদস্যরা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা কর আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। ওই টাকা থেকে মেম্বারদের মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান তা দেননি। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পাকা দালান নির্মানের জন্য দালান প্রতি ৫ হাজার টাকা করে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাত করেন এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ১% (ওয়ান পার্সেন্ট) এর টাকা চেয়ারম্যান একাই ভোগ করেন। তারা এ সকল দূর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও চেয়ারম্যানের অপসারন দাবী করেছেন।এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী এর সঙ্গে কথা বললে তিনি ইউপি সদস্যদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু সদস্য দুর্নীতি করার সুযোগ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত কম্বল বিতণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল হারুন এর সঙ্গে কথা বললে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ