Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের চরিত্র : মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চরিত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে সেটাই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চরিত্র। এর আগেও তারা বহুবার শিক্ষকদের মেরেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের মেরেছে। গতকাল (বুধবার) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানীতে তার কবরে নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যখনই তাদের (ছাত্রলীগ) বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিক্টোরিয়াল অথোরিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তখনই তাদের হাতিয়ার হয়ে তারা (ছাত্রলীগ) আক্রমণ করেছে গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর। প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজকে ক্ষমতাসীনদের সংগঠনটি এই অবস্থা চালু করেছে।
এটা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, সমগ্র দেশে, সমগ্র সমাজে, সমগ্র রাষ্ট্রে তারা জোর করে, মাস্তানি করে, গুন্ডামী করে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়। এটা সমর্থন দেয়া যায় না, এর অবসান হবেই। এদেশের মানুষ নিঃসন্দেহে তাদেরকে পরাজিত করবে। নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশের জনগণ ভোটে যাবে না। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে জাতীয় নির্বাচন যাতে না হয়। সত্যিকার অর্থে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেজন্যই তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এই অবস্থা চলবে না, এই অবস্থা কখনোই চলবে না।
এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, শাহ নুরুল কবির শাহিন, কাইয়ুম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম বাবু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ। পরে কবরস্থানের বাইরে ‘আরাফাত রহমান কোকো যুব ক্রীড়া পরিষদ’ ও ‘আরাফাত রহমান স্মৃতি পরিষদের’ যৌথ উদ্যোগে গরীব ও দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা কোকোর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো মারা যান। তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বিএনপি নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসা এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিলাদ এবং কবর প্রাঙ্গনে কোরানখানির আয়োজন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ