পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০ বা ৪০টির বেশি আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এ সরকার আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তবে যত কিছুই হোক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরেপক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান : আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং জিয়া পরিবারকে। যে কারণে জিয়াকে শহীদ হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল জিয়াকে হত্যা করে বিএনপিকে স্তব্ধ করা যাবে। কিন্তু তারা জানে না যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এবং জিয়ার আদর্শ আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আজো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জীবিত জিয়ার চেয়ে শহীদ জিয়াকে বেশি ভয় পায়। এজন্যই তারা বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এবং ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে খালেদা জিয়াকে তারা আবারও ভোট দিয়ে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। আওয়ামী লীগের কোনো পাত্তা থাকবে না। অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তারা ৩০-৪০টির বেশি আসন পাবে না। এসব তথ্য আওয়ামী লীগ তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পেয়েছে। তবে এসব কথা শুধু তাদের নয় আজকে সাধারণ মানুষও একই কথা বলছে। সরকারের উদ্দেশ্যে ড. মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আর কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। আমরা নির্বাচন নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। এজন্যই আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেড় বছর আগেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলেছেন। তিনি উপযুক্ত সময়েই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরখো ঘোষণা দিবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের পথে অগ্রসর হয় তাহলে দেশের জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি পূরণ করবে। সুতরাং নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি সংবিধান সংশোধন করে তাতে সংযোজন করার আহŸান জানান তিনি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতা ব্যর্থ হয়েছে সেখানেই জিয়াউর রহমান ও বিএনপি সফল হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা, মধ্যপ্রাচ্যে মানবসম্পদ তথা জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করেছেন। যার সুফল বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে পবগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো এবং জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের স্ত্রী মরহুমা হাফিজা মাসুদের মৃত্যুতে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামাদ দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, জিয়া পরিষদের নেতা প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ড. মো. এমতাজ হোসেন, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর কামরুল আহসান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।