Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেটে কাজী আইটি

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

দেশের এক হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী উচ্চ বেতনে চাকরি করছে মাইক কাজী
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এক যোগে কাজ শুরু করছে। সম্প্রতি কাজী আইটির সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে এমন একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করতে কাজী আইটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেবে। আমেরিকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি দেশে ২০০৯ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশে এটিই অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে। এ বছর তারা এক শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দেশের এক হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী উচ্চ বেতনে কাজ করছেন। ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট পুরুণে প্রতিষ্ঠানটির ভ‚মিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নেয়া টার্গের চেয়ে আরও অনেক বেশি আয় করা সম্ভব বলে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন। তবে এ জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষতা বৃদ্ধি। দক্ষ জনবল সৃস্টি হলে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাইক কাজীর সঙ্গে মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশে তরুণ-তরুণীরা মেধাবী। তারা আইটিতে দক্ষতা অর্জন করছে এটা ঠিক। কিন্ত একটি জায়গায় সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে। তা হচ্ছে ভাষা। ইংরেজি ভাষাটা ভালভাবে জানলেই বাংলাদেশ এত দিনে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো। আইটি জানা বহু তরুণ তরুণী পাওয়া গেলেও তারা আমেরিকানদের সঙ্গে ঠিকভাবে ‘কমিনিগেট’ করতে পারে না। যারা পারছেন, তারা কিন্তু খুব ভাল করছেন। শুরুতেই তাদের বেতন ধরা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ তথ্যপ্রযুক্তি বেড় হচ্ছে না। কাজী আইটিতে এখন পর্যন্ত ওখান থেকে কাউকে পায়নি।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, কাজী আইটি একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে চাই। আগামীতে দেশে কেমন আইটি ফার্ম গড়ে উঠবে তা কাজী আইটি দেখলেই আঁচ করা যায়। কারণ তারা গতানুগতিক কোনো ধারা অনুসরণ করছে না। তারা কাজ দিয়েই সরকারের ২০২১ সালের মধ্যে যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আইসিটিতে রপ্তানি আয় করার টার্গেট নেয়া হয়েছে তা পূরণ হবেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ