Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্মরণ সভায় বক্তারা এম এ আজিজ ছিলেন বিনয়ী ও নিরহঙ্কারি

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার: এম এ আজিজ ছিলেন বিনয়ী, নিরহংকারী ও সদালোপী। ক্ষমতার এত কাছাকাছি থেকেও তিনি কখনো দাম্ভিকতা দেখাননি। তিনি খুবই কর্মীবান্ধব ছিলেন। খুব সহজেই কর্মীদের তিনি আপন করে নিতে পারতেন। অনেক নেতা এটা করতে পারেন না। একজন উচু মাপের মানুষ ছিলেন তিনি।
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, এম এ আজিজ ছিলেন একজন ত্যাগী নেতা। বঙ্গবন্ধুর যেমন ঘণিষ্ঠ সহচর ছিলেন, তেমনি পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আস্থাভাজন হিসেবে শেখ হাসিনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যখন মহানগরে কোনো আওয়ামী লীগ কর্মী খুজে পাওয়া যেত না, তখনও তিনি দলকে ছেড়ে যাননি। নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে বিভিন্ন মহল থেকে অনেক চাপ থাকা সত্তে¡ও তিনি আপোষ করেননি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের সময় ২৫ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর অভিযানে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। এতে আরো বক্তব্য দেন মরহুমের বড় ছেলে ওমর বিন আজিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, আবুল বাশার ও অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
এরআগে সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বাদ জোহর পরিবারের পক্ষ থেকে পুরান ঢাকার হোসনী দালানে মরহুমের নিজ বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের সম্মেলনে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি হন এম এ আজিজ। হানিফ মারা যাওয়ার পর ২০০৭ সালে আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ