Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে প্রশ্নোত্তর তিন বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েচেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বাহিনীগুলো নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিন বাহিনীতে এরইমধ্যে যেসব আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে তা উল্ল্যেখ করেন। সেনাবাহিনী নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, আগামী ২ অর্থ বছরে সিলেট সেনানিবাসে ১১টি ইউনিট/সদর দপ্তর গঠন করা হবে। পরবর্তী তিন অর্থ বছরে রামু সেনানিবাসে গঠন করা হবে ১৪টি ইউনিট/সদা দপ্তর। ২০২৫ সাল নাগাদ মোট ৫৬টি ইউনিট/সদর দপ্তর গঠন করার কথা রয়েছে। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামাইন উপজেলায় সেনানিবাস গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি আরই ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া সেনাবাহিনীতে স্বতন্ত্র আর্মস হিসেবে স্পেশাল ফোর্স গঠনের লক্ষ্যে একটি সদর দপ্তর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এবং একটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বিওএফ’এর অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফার এর মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ভিসোরাদ মিসাইল উৎপাদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রশ্নোত্তরে নৌবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে নৌবাহিনী পরিচালিত চট্রগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড (সিডিডিএল) এ বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফ্রিগেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকা টহলের জন্য ৬টি ফ্রিগেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারির জন্য ২টি এমপিএ কেনা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি ২টি হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন ২টি ফ্রিগেট, এমসিএমভি, সাবমেরিন রেসকিউ ভেসেল, লজিস্টিক শিপ, প্যাট্রোল ক্রাফট, ওশান টাগ, ফ্লোটিং ডক ইত্যাদি কেনা পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
বিমানবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরনের জন্য বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, জহুরুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এবং অগ্রবর্তী ঘাঁটি কক্সবাজারে ৪টি এটিএস র‌্যাডার স্কোয়াড্রন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এসব র‌্যাডার স্কোয়াড্রনের সংস্থাপন প্রস্তাবগুলো ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে মোতায়েনের জন্য এক স্কোয়াড্রন মাল্টি রোল যুদ্ধ বিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশালে বিমান বাহিনীর পুর্ণাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ঘাঁটি স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধ বিমান এবং সরঞ্জামাদি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ