Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিগন্তজুড়ে শুধুই সবুজের সমারোহ আলুর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় কৃষক

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চলতি মওসুমে আলুর ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে চাষযোগ্য জমিতে এখন শুধু আলু গাছের সবুজ রঙের সমারোহ। পোকার আক্রমনে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে নিতে কৃষক আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। মাঠে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে আলু গাছের পরিচর্যা করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শস্য মওসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৫ শ’ ২৫ শতক জমিতে উপজেলার কৃষকরা আলু চাষ করেছে। আলু লাগানোর শুরুতে বৃষ্টির কারনে বীজ কিছুটা পচন দেখা দিলে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঠিক সময়ে পরামর্শ দেয়া এবং আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় অন্যান্য শস্যের পাশাপাশি আলুর বাম্পার ফলনের স¤া¢বনা রয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামীন জনপদের কৃষক এ বছর উফসী জাতের আলু ১ হাজার ৬ শতক ও দেশী জাতের ছোট আলু ২শ ২৫ শতক লাগিয়েছেন। সময়মতো আলু ঘরে তুলতে পাড়লে এবং চাহিদা ও বাজারমূল্য ভালো থাকলে আলুচাষে কৃষকের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন। তবে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে রামনগর, মনোহরপুর, অলুয়া, মলাপাড় ও আসাদনগর এলাকায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অলুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক খোরশেদ আলম চারু মিয়া জানান, আমি এ বছর ১২০ শতক জমিতে ভালো ডায়মন্ট জাতের দেশী আলুর বীজ কিনে জমিতে লাগিয়েছি। এ পর্যন্ত আলু গাছের গঠন দেখে মনে হচ্ছে বাকি দিনগুলোতে যদি আবহাওয়া ভাল থাকে আশানুরূপ ফলন পাবো। একই গ্রামের আলু চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি এ বছর ১৮০ শতক জমিতে ডায়মন্ট জাতের আলু লাগিয়েছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে ও ছত্রাক আক্রমণ না করলে এ বছর আলুর ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার এনএম আলমগীর বাদশা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এ বছর আবহাওয়াজনিত কারনে আলুর তেমন একটা বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। প্রথম দিকে লাগাতার কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে সমস্যা দেখা দিলেও আমরা কৃষকদের সাথে কথা বলে তাদের যুগোপযোগি পরামর্শ দিয়ে তা সমাধান করেছি। এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়, আগামী দিনেও যদি ঘন কূয়াশা না থাকে, আবহাওয়া অনুকুল থাকে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হয় তাহলে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিবিড়ভাবে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্চার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেয়া অব্যাহত রয়েছে। সবশেষে তিনি, যে কোন ফসল নিয়ে প্রান্তিক কৃষকগণ সমস্যায় পড়লে উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শ গ্রহন করার আহবান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ