পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আমরা কখন কোনো অন্যায়কারী, কোনো ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, বেআইনি কাজ করা কোনো লোককে প্রশ্রয় দেব না, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ ৩ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করার পর গতকাল (সোমবার) সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরেছে, নিশ্চয়ই কোনো অভিযোগ আছে। সে অভিযোগ কোর্টে প্রমাণ হবে এবং শাস্তি হবে। সেই বিধান অনুসারে আমাদের যে সিস্টেম (চাকরিবিধি) আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ রোববার জানায় ওই দুইজন তাদের হেফাজতে আছে। দুজনের নিখোঁজের খবরে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও এখন আর ‘চিন্তা করার দরকার নেই’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, এটা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ধরে) নিলে কিছু না কিছু কারণ আছে। দুর্নীতি হোক, অন্য যে কোনো ধরনের অপরাধ হতে পারে, অপরাধ আছে। ওই দুইজনের মধ্যে মোতালেবকে শনিবার বিকালে বছিলা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায় বলে থানায় জিডি করেছিল পরিবার। আর নাসির বৃহস্পতিবার বনানী এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল। তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে রোববার রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাসিরের কাছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি তারা কোনো ঘুষ নিয়ে থাকে যে কোনো ধরনের অপরাধ করে থাকেন, ব্যবস্থা সরকার নেবে। আইনি ব্যবস্থায় যা আছে তাই হবে। আর সেই সঙ্গে এই অপরাধে অপরাধী হলে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে চাকরিবিধি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। পুলিশের হাতে আটক মোতালেব নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হলেও এখন আর তাকে কোনো সহযোগিতা দেবেন না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যা হওয়ার তাই হবে, আমরা এটা বরদাস্ত করব না। আমরা কোনোভাবেই বলব না যে আমার এখানে, মন্ত্রণালয়ে কাজ করে তাই তাকে আমরা সহযোগিতা দেব, মোটেই দেব না। আগে থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি করলেও দুই বছর আগে নাহিদের পিও হিসেবে বদলি হয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে আসেন মোতালেব। নাহিদ বলেন, এখানে (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে) কারো জন্যই দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ বা আইনবিরোধী কোনো কাজ করার কোনো সুযোগ, কোনো অধিকার নেই, তারপরেও হয়ত হয়।
মোতালেব ও নাসিরের সঙ্গে লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনকেও গ্রেপ্তার করার কথা রোববার স্বীকার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকালে গুলশান এলাকা থেকে মতিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছিল তার পরিবার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডে ফাইল চালাচালি করছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব এবং উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।