পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এখনো সময় আছে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচন দেন। অন্যত্থায় জনগণ রাস্তায় নেমে তাদের ভোটাধিকার আদায় করবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সেই আন্দোলনে পাশে থাকবো। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর আবির্ভাব, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও জনগণের জন্য আশীর্বাদ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, রাজনীতির যে অস্থিতিশীল অবস্থা, সমাজে যে অস্থিরতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই, সব কিছুকে যদি সমাধান করতে হয়, তাহলে জনগণের সরকার প্রয়োজন। জনগণের সরকার আনতে হলে নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। আমি প্রত্যাশা করি সরকার এ কথা উপলব্ধি করবেন। কেননা প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন ভবিষ্যৎতে নির্বাচনকালীন একটি সরকার হবে। কিন্তু বর্তমান সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। যদি নির্বাচনকালীন সরকারের কথা আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মেনেই থাকেন তাহলে আপনার সংসদ আছে, টু-থার্ড মেজরিটি আছে। সেই সংসদে সংবিধান সংশোধন করেন। সেখানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারে ব্যবস্থা কায়েম করেন। যা এখনো সম্ভব।
সরকার বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মন্তব্য করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে যদি আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। যেহেতু জিয়াউর রহমান বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, আমাদেরই দায়িত্ব গণতন্ত্রকে মুক্ত করা। নির্বাচনের মাধ্যমেই এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
স¤প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমরা নাকি নির্বাচনকালীন তিনটি সরকারের কথা বলেছি, তারা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা বলতে চাই, সাধারণ সম্পাদক সাহেবতো (ওবায়দুল কাদের) অনেক কথাই বলেন, তাকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আর তিনি বলেছেন এটা অবরুদ্ধ না, তারা সেখানে বিজয় মিছিল করছিল, উল্লাস করছিল। যে ব্যক্তি অবরোধকে উল্লাস বলতে পারে, তার পক্ষে তো কত কিছুই বলা সম্ভব। আমরা পরিষ্কার বলেছি নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। এ সরকারটি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহায়তা করবে। সেই সহায়তা করার জন্য একটি সহায়ক সরকার হবে, সেটা যেভাবেই হোক। এ সরকারের চরিত্র হবে নিরপেক্ষ। নির্বাচনকালীন তাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। সে নিরপেক্ষ সরকারের নাম যেটাই হোক না কেন, আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেছি।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) এ সরকার (নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার) কেমন হবে, সেটা নিয়ে ভবিষ্যৎতে একটি রূপরেখা দিবেন। আমরা উপযুক্ত সময়ে সে ঘোষণা দেব। সেই রূপরেখা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাবো। তার স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি দেব। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।