ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুরে ১১ বছর বয়সী মামুন নামের এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার ১দিন পর মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার টুমচর এলাকায় নানার বাড়ীর পাশ^বর্তী একটি নালা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে ২১ জানুয়ারী রাতে ওই শিশুটি নিখোঁজ হন। পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুটির মায়ের বর্তমান স্বামী তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। তবে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করে পুলিশ। পরে ওই এলাকা থেকে শিশু মামুনের সৎ পিতা মাসুদকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ১২ বছর আগে সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের রহিমা আক্তার সুমির সাথে বরিশালের আবু সিদ্দিকের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রয়েছে ১১ বছরের শিশু মামুন। সম্প্রতি রহিমা বেগম সুমি মাসুদ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া জড়ায়। এক পর্যায়ে সুমি আবু সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটিয়ে মাসুদকে বিয়ে করে। কিন্তু দুজনের মধ্যে শিশু মামুনকে নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০ জানুয়ারী রাতে চট্টগ্রাম থেকে মামুনকে নিয়ে সদর উপজেলার টুমচর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে সুমি ও মাসুদ। ২১ জানুয়ারী রাতে মামুন স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে সে নিখোাঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজে মাইকিং করা হয়। ২২ জানুয়ারী সোমবার বিকালে ওই এলাকায় একটি নালায় মাটি চাপা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের মামা মো. রুহুল আমিন জানান, বোনের আগের সংসারের ছেলে মামুনকে নিয়ে বর্তমান স্বামী মাসুদ ও সুমির সংসারে কলহ বিবাদ চলে আসছে। এর জের ধরে মাসুদ মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ল²ীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আনোয়ারুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় মাসুদকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।