বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে: সাভার উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ও টি আর (টেষ্ট রিলিফ) প্রকল্পে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ অর্থ বৎসরে স্থানীয় এমপির অধীনে বরাদ্দের সিংহভাগই সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি নামমাত্র কাজ করেই কাগজে-কলমে প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত বরাদ্দের বিপুল পরিমান খাদ্য শষ্য লুটপাট হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা লুটপাট হলেও এ নিয়ে কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট ত্রান বিভাগের।
সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার দীর্ঘদিন পর তথ্য সরবরাহ করেন অফিস সহকারী কোহিনুর আক্তার। তাদের সরবরাহকৃত তথ্য থেকে জানা গেছে ২০১৫-১৬ অর্থ বৎসরে সরকারের ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও টি আর (টেষ্ট রিলিফ) প্রকল্পের ৫কোটি ৪৫ লাখ ৭২হাজার ২৬৬টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ২০১৬-১৭ অর্থ বৎসরে সরকারের ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে টি আর (টেষ্ট রিলিফ) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের ১১কোটি ১৫ লাখ ৫৮হাজার ৫৫৭টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদের মধ্যে সিংহভাগটাই রয়েছে ঢাকা-১৯ আসনের স্থানীয় এমপি ডা. এনামুর রহমানের মাধ্যমে বিশেষ বরাদ্দ। যার মধ্যে অর্ধেক উন্নয়ন প্রকল্প ও বাকি অর্ধেক সোলার প্রকল্প রয়েছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) এবং টেষ্ট রিলিফ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে লাগামহীন ভাবে। অস্তিত্বহীন প্রকল্পের নামে হরিলুট করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উন্নয়নের নামে প্রকল্পের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ থেকে ৪বার করে একই কাজে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশনবিহীন বিভিন্ন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে একাধিকবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বরাদ্দ আনার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করতে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। পিআইও অফিস সূত্রে জানাগেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের আওতায় টি আর, কাবিখা ও কাবিটার বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে এমপি আস্থাভাজনরা অতি মাত্রায় নাক গলান। ফলে এসব প্রকল্পে অনিয়ম হলেও দেখার কেউ নেই।
এ প্রসঙ্গে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) একরামুল হক কোন কথা বলতে রাজী না হলেও দায়িত্বরত অফিস সহকারী কোহিনুর আক্তার দাবি করেন, তাদের সব প্রকল্পে কোন দূর্নীতি হয়নি। সব নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। তবে যেখানে যা বরাদ্দ দেয়ার আমরা দিয়েছি। তারা সেই বরাদ্দের টাকা নিয়ে কি করে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।