Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিসিকে শ্রমিক সমাবেশ

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : বেতন বৃদ্ধি ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এবং গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের দাবিতে সমাবেশ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। বিসিক নগরির শাহী মসজীদ সংলগ্ন ২ নাম্বার গেইটে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। বিসিক আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ন‚র হোসেন সর্দারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সাইদুরের সঞ্চালনায় ২১ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮ টায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি শ্রমজীবি মানুষ এবং রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত গার্মেন্টস কারখানা। গত বছর রপ্তানি হয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা)। শতকরা অনুযায়ী রপ্তানির ৮২ শতাংশ আয় করা হয় গার্মেন্টস খাত থেকে। ৪ হাজারের মত কারখানায় ৪০ লাখ শ্রমিকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উৎপাদিত হয় এই পন্য। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ২য় গার্মেন্টস পন্য রপ্তানিকারক দেশ। এটার সাথে সাথে আরো একটি কথা বলতে হয়, যে সব দেশ গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি করে যেমন, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া এসব দেশের চেয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি সব থেকে কম।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানি আয় বাড়ছে, শ্রমিকদের জীবনজাপনের খরচ বাড়ছে, প্রেসিডেন্ট , প্রধানমন্ত্রী, এমপি-মন্ত্রীসহ সকল সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ছে, কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাড়ছেনা। গার্মেন্টস মালিকরা বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, বিদেশে বিপুল সম্পদের পাহার গড়ছে যা প্রচার মাধ্যমের দ্বারা জনগন প্রতিদিন জানছে। দেশের আয় বারছে বলে সরক্স্র গর্ব করে বলছে, মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে,তাহলে সেই দেশে রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শ্রমিকরা সস্তা শ্রমিক হিসেবে বিবেচিত হবে কেন? দেশ নাকি এগিয়ে যাচ্ছে তাহলে শ্রমিকদের অধিকার থাকবেনা কেন? ৪০ লাখ শ্রমিকদের সাথে ২ কোটি মানুষ সম্পর্কিত, তাদের চিকিৎসা, শিক্ষাবঞ্চিত করে উন্নয়নের কথা বলা হবে প্রহসনের সামিল।
একজন শ্রমিক বাজারের কমদামি খাদ্য কিনে বাড়িতে রান্না করে খেলেও তিন বেলায় তার প্রয়োজন ১০৬ টাকা। বস্তি এলাকাতে দের র”মের বাসা,পানি-বিদ্যুতসহ মাসে ভাড়া ৫ হাজার টাকা। যাতায়াত,কাপড়চোপর, অথিতি আপ্যায়ন, তেল, সাবান, জুতা, মোবাইল খরচ, ঈদ-প‚জায় গ্রামে যাওয়াসহ একটি পরিবারে মাসে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকার কমে মানবিক জীবনজাপন করা সম্ভব না। তাই ১৮ হাজার টাকার কম মজুরি হলে তা কোন ভাবেই ন্যায্য হবেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ