পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে হলে আওয়ামী লীগ ৮ ভাগ ভোটও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৮ ভাগ ভোটও পাবে না। তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যদি কম ভোট পায় তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগের এতো ভয় কেন। যদি এতই আত্মবিশ্বাস ও সাহস থাকে তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিয়ে দেখেন, দেখা যাক কে কত ভোট পায়। জনগণ আপনাদের ভোট দিলে আপনারা সরকার গঠন করবেন। আর আমাদের ভোট দিলে আমরা করবো। এই সাহস আপনাদের নাই কারণ আপনারা জানেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিলে আপনারা ৮ পারসেন্টেও ভোট পাবেন না।। গতকাল (রোববার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী, পাঠক পরিচয়পত্র বিতরণ এবং বই সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরা (সরকার) সহজেই নির্বাচন করবে না। কারণ এরা জানে যে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এরা কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে না পারলে এদের যে কী হাল হবে এই বিষয়ে জনগণ খুব ভালো করে জানে। সদ্য স্থগিত হওয়া উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগসাজস করে এই কাজটা (স্থগিত) করেছেন যাতে করে এটা রিট হয় এবং নির্বাচন করতে না হয়। নির্বাচন করলেই তো আপনাদের ভরাডুবি হবে। সিটি করপোরেশ নির্বাচনে আপনাদের ভরাডুবি অবধারিত ছিলো বলে সেকারণে আপনারা নির্বাচন বন্ধ করেছেন।
তত্ত¡াবধায় সরকার বিধান সরকার কেন পরিবর্তন করলো এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তৎকালীন বিচারপ্রতি খায়রুল হক বলেছিলেন যে, এই তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে আরো দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কই সেই কথা তো নেননি। সহায়ক সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন রাজনৈতিক সুবিধা হবে তখন আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবো। আর সরকার তো চাইলে তত্ত¡াবধায়ক সরকারকেই সহায়ক সরকার রূপে নিতে পারে। সরকারের ৪ বছরের উন্নয়নের রোল মডেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা উন্নয়ন উৎযাপন করেছেন। কিসের উন্নয়ন। পাকিস্তান সরকারের সময়ে আইয়ূব খানও ব্যাপকভাবে উন্নয়ন উদযাপন করেছিল। কিন্তু তার বিদায় কিভাবে হয়েছি তা সকলেই জানেন। এরশাদ সরকারও উন্নয়ন উদযাপন করেছিল তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে। আজ যাকে আওয়ামী লীগ কথায় কথায় স্মরণ করে তিনিও যখন স্বৈরাচারে পরিনত হয়েছেন, জনগণের মাঝে চাপিয়ে দিয়েছেন তখন জনগণও তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপি একটি অবোধ দল অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি অবোধ দল আর আপনি বোধ সম্পন্ন মানুষ। শেয়ারবাজারে হাজার কোটি টাকা লুট হলো আপনি বললেন ৪শ কোটি টাকা কোন টাকায় না। বেসিক ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়, আপনি বলেন, এটা কিছুই না। আপনার সহকর্মী মন্ত্রী ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর। তিনি একটা ব্যাংক নিয়েছিলেন আপনার কাছ থেকে সেই ব্যাংক লাটে উঠে গেছে। ৫ হাজার টাকা চেক দিলেও ফেরত আসে। এটা আপনার খুব বোধের কাজ হয়েছে, এটা আপনার বোধ শক্তির পরিচয় হয়েছে।
বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন ও দেশের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জেগে উঠুন, আপনার অধিকার আদায় করবার জন্য, আপনার সন্তান-স্ত্রী-কণ্যাকে রক্ষা করবার জন্য আপনি আজকে অবশ্যই জেগে উঠুন। এই যে দানব সরকার যার সক্রিয় পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশে সব অনাচারে ভরে গেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, সত্যের ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহির দীপ্তি›র সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।