প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সেরা চলচ্চিত্র ‘জাগ্গা জাসুস’, অভিনয়ে জয়ী ইরফান খান আর বিদ্যা বালান
ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পর সবচেয়ে কাক্সিক্ষত চলচ্চিত্র সম্মাননা অনুষ্ঠান ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস। বলিউডের সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্রগুলোকে এই পুরস্কারে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এবারের ৬৩তম ফিল্মফেয়ারে পুরস্কারের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে সাফল্য পেয়েছে ‘জাগ্গা জাসুস’; ফিল্মটি ১০টি মনোনয়ন পেয়ে চারটি পুরস্কার পেয়েছে। যথাক্রমে ১০টি আর ৮টি মনোনয়ন পেয়ে তিনটি করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এবং ‘আ ডেথ ইন দ্য গাঞ্জ’।
এই বছর শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী, আর ডি বর্মণ অ্যাওয়ার্ড এবং স্পেশাল ইফেক্টস বিভাগগুলোতে পুরস্কার দেয়া হয়নি।
এবারের ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানটি পারফরমেন্সে মাতিয়েছেন শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, পরিণীতি চোপড়া এবং সানি লিয়ন। এছাড়া, অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা পুরনো দিনের হিন্দি গানে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
মুম্বাইয়ের এনসিএসআই ডোমে ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শাহরুখ খান এবং তার বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর।
৬৩ জিও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের পুরস্কার তালিকা
সেরা চলচ্চিত্র : ‘হিন্দি মিডিয়াম’।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অশ্বিনী আয়ার তিওয়ারি (‘বারেলি কি বারফি’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : ইরফান খান (‘হিন্দি মিডিয়াম’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : বিদ্যা বালান (‘তুমহারি সুলু’)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা : রাজকুমার রাও (‘বারেলি কি বারফি’)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী : মেহের বিজ (‘সিক্রেট সুপারস্টার’)।
সেরা সঙ্গীত পরিচালনা : প্রীতম (‘জাগ্গা জাসুস’)।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : অমিতাভ ভট্টাচার্য (উল্লু কা পাট্ঠা, ‘জাগ্গা জাসুস’)।
শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িক : অরিজিত সিং (রোকে না রুকে না ন্যায়না, ‘বদরিনাথ কি দুলহানিয়া’)।
শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকা : মেঘনা মিশ্র (নাচদি ফিরা, ‘সিক্রেট সুপারস্টার’)।
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (পিপল’স চয়েস) : ‘অনাহুত’
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (ফিকশন) : ‘জ্যুস’।
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (নন-ফিকশন) : ‘ইনভিজিবল উইংস’।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র) : জ্যাকি শ্রফ (‘খুজলি’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র) : শেফালি শাহ (‘জ্যুস’)।
সেরা চলচ্চিত্র ও পরিচালক (ক্রিটিক্স) : ‘নিউটন’, অমিত ভি. মাসুরকার।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (ক্রিটিক্স) : রাজকুমার রাও (‘ট্র্যাপ্ড’)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (ক্রিটিক্স) : জায়রা ওয়াসিম (‘সিক্রেট সুপারস্টার’)।
সেরা কস্টিউম : রোহিত চতুর্বেদী (‘আ ডেথ ইন দ্য গাঞ্জ’)।
প্রডাকশন ডিজাইন : পারুল সোন্ধ (‘ড্যাডি’)।
শ্রেষ্ঠ নবাগত পরিচালক : কঙ্কনা সেন শর্মা (‘আ ডেথ ইন দ্য গাঞ্জ’)।
আজীবন অবদান : অভিনেত্রী মালা সিনহা এবং সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ী।
সেরা সংলাপ : হিতেশ কেভালিয়া (‘শুভ মঙ্গল সাবধান’)।
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : অমিত ভি. মাসুরকার (‘নিউটন’)।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : শুভাশিস ভুটিয়ানি (‘মুক্তি ভবন’)।
সেরা কোরিওগ্রাফি : বিজয় গাঙ্গুলী এবং রুয়েল দাউসান বারিন্দানি (গালতি সে মিসটেক, ‘জাগ্গা জাসুস’)।
সেরা যন্ত্রসঙ্গীত : প্রীতম (‘জাগ্গা জাসুস’)।
সেরা সিনেমাটোগ্রাফি : শীর্ষ রায় (‘আ ডেথ ইন দ্য গাঞ্জ’)।
সেরা সাউন্ড ডিজাইন : ‘আনিশ জন (‘ট্র্যাপ্ড’)।
সেরা সম্পাদনা : নিতিন বৈদ (‘ট্র্যাপ্ড’)।
সেরা অ্যাকশন : টম স্ট্রাথার্স (‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।