পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। ওই নির্বাচনের ১৩ মাস পর মুখ খুললেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে বলে যখন সুশীল সমাজ নির্বাচন কমিশনের স্তুতি গাইছেন; তখন হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান এমপি। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভির নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার টিভি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছিলেন শামীম ওসমান। দেরিতে হলেও তিনি সেই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে হাটে হাড়ি ভাংলেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩৯৫ দিন পর ভোটের দিনের ‘পর্দার আড়ালের ক্যারিশমা’ তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেছেন, গত এক বছর নির্বাচন পরিহার করার পরও কিভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করেছি, কেমনে করেছি। প্রথমটা কি হয়েছে? দ্বিতীয়টা কি হয়েছে? শামীম ওসমান জোর দিয়ে বলেন, কোন স্টাইলে সিটি নির্বাচন হয়েছে। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি সংগঠনটা খুব সিনসিয়ারলি করি বিধায় এই কথাগুলো বলতে পারি না। কোথায় কি হয়েছে- এখনও মুখ খোলার সময় হয়নি। এক পর্যায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপর বলবো কিভাবে কাকে পাস করানো হয়েছে। সে বিষয়ে আমি আসতে চাই না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই। যে একটা বছর নির্বাচন করেছি, যা কিছু করার দরকার করেছি। ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য করিনি। আমার নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রীর নির্দেশের জন্যই আমি আমার কাজ করেছি। এবং আমি আমার কাজ হান্ড্রেড পার্সেন্ট সততার সঙ্গে দলের প্রতি আনুগত্য রেখেই করেছি। আমি কোন ধন্যবাদ পাইনি। আমি তার (আইভী) ধন্যবাদ চাইও না। বিকজ আমি যা করেছি দলের জন্য এবং নৌকা মার্কার পক্ষে করেছি।
শামীম ওসমানের এই বক্তব্য প্রচার হওয়ার পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা শামীম ওসমানের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের এমপি হয়ে শামীম ওসমানের এ ধরনের বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি? তার এই বক্তব্য সরাসরি দলের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে গেল। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়া ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীর দল বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা শামীম ওসমানের কথায় ‘থলের বিড়াল’ বের হতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য হলো- কথায় আছে ‘বোয়ালের ডিম বোয়ালে ভাঙে’। এতোদিন পর শামীম ওসমান তার বক্তব্যে তা-ই করেছেন। শামীম ওসমানের মুখ দিয়ে সত্য বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। এখন শামীম ওসমানের উচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গণণায় ‘পর্দার আড়ালে যা যা হয়েছে’ সেগুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা। আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলছেন, শামীম ওসমানের পরিবার আওয়ামী লীগার। তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কান্ডারী। আইভি অনুসারীরা যতই সমালোচনা করুক শামীম ওসমান হৃদয়ে আওয়ামী লীগকে ধারণ করেন। তার উচিত প্রকৃত চিত্র সত্য তুলে ধরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।