ইসলাম প্রচারের নিয়ম-নীতি
আল্লাহ জাল্লা শানুহু মানব জাতির জন্য যে দ্বীন অর্থাৎ জীবনব্যবস্থা দিয়েছেন, সেটাই ইসলাম। ইসলাম কোনো
‘দা’ওয়াত’ শব্দের অর্থ হচ্ছেÑ আহŸান করা, ডাকা। আর ‘তাবলীগ’ শব্দের অর্থ হলোÑ পৌঁছিয়ে দেয়া। ‘দা’ওয়াত ও তাবলীগ’-এর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছেÑ মহান আল্লাহ তা’য়ালার দিকে মানুষকে আহŸান করা এবং আল্লাহর দ্বীন মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়া। দ্বীনের দা’ওয়াত ও তাবলীগের জন্য মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে লক্ষাধিক নবী-রাসূলগণকে এ ধরার বুকে পাঠিয়েছিলেন। প্রত্যেক নবী-রাসূলই জগতবাসীকে এক আল্লাহর দিকে আহŸান করে গিয়েছেন। তাঁদের দা’ওয়াতী কাজের মূলমন্ত্র ছিল ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়’। প্রত্যেক পয়গম্বরের দা’ওয়াতী কাজের বিষয়বস্তু ছিল মূলত তিনটি। যথা : তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত। আর এ তিনটি বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হলোÑ যা ঈমানে মুফাস্সালে বর্ণিত হয়েছে। ঈমানে মুফাস্সালে বর্ণিত বিষয়গুলো হলোÑ ১. আল্লাহ্ ২. ফিরিশ্তাগণ ৩. আসমানী কিতাবসমূহ ৪. নবী-রাসূলগণ ৫. পরকাল ৬. ভালো-মন্দ তাকদীর তথা ভাগ্যলিপি আল্লাহর পক্ষ থেকে হওয়া ৭. পুনরুত্থান তথা মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনয়ন করা। এ বিষয়গুলোর প্রতি ঈমান আনয়ন করা প্রত্যেক যুগের মুসলমানের ওপরই ফরজ ছিল। আর এর আবশ্যকতা কিয়ামত অবধি অব্যাহত থাকবে।
মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন :
* ‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা লোকদের কল্যাণের দিকে আহŸান করবে এবং তারা সৎকাজের আদেশ দেবে ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে। আর তারাই প্রকৃত সফলকাম।’ Ñ(সুরা আল-ইমরান- ১০৪) * ‘তামরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। তোমাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজের নিষেধ করবে। আর মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করবে।’ Ñ(সূরা আল-ইমরান, ১১০) * ‘(হে রাসূল)! আপনি মানুষকে নসিহত করতে থাকুন, কেননা নসিহত অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য উপকারী হবে।’ Ñ(সূরা যারিয়াত-৫৫)।
পবিত্র কোরআন মজীদে আরো ইরশাদ হয়েছে : ‘ওই ব্যক্তির কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে আহŸান করে, নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে, নিশ্চয় আমি একজন মুসলমান।’ Ñ(সূরা হা-মীম সিজদাহ-৩২)
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, শায়খুল হাদিছ আল্লামা যাকারিয়া রাহ. তদীয় জগদ্ধিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফাজায়েলে আ’মাল’ গ্রন্থে ‘তাফসীরে খাজেন’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, মোফাস্সিরীনে কেরাম লিখেছেন, যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো (বৈধ) তরিকায় মানুষকে আল্লাহর দিকে আহŸান করেন তিনিই এ প্রশংসার যোগ্য হবেন। যেমনÑ নবীগণ মো’জেযা দ্বারা, উলামায়ে কেরাম (শরীয়তের) দলিল প্রমাণাদির দ্বারা, মোজাহিদগণ তরবারি দ্বারা এবং মুয়াজ্জিনগণ আযান দ্বারা (মানুষকে আল্লাহর দিকে আহŸান করে থাকেন)। এভাবে যে কেউ যে কোনো পদ্ধতিতে মানবসমাজকে সৎকাজের দিকে ডাকে, চাই বাহ্যিক আমলের দিকে আহŸান করুক কিংবা বাতিনী আমলের দিকে আহŸান করুক, যেমন হক্বানী পীর-বুযুর্গগণ (মানুষকে ইস্লাহে নফ্সের জন্য) আহŸান করে থাকেন, তিনিই উক্ত সুসংবাদের যোগ্য হবেন।
শায়খুল হাদিস আল্লামা যাকারিয়া রাহ. ‘নিশ্চয় আমি একজন মুসলমান’ এ কথাটির দু’টি ব্যাখ্যা লিখেছেন। যথা : ১. মুসলমান হয়ে আমি যে আল্লাহর দিকে আহŸানের দায়িত্ব পেয়েছি, তা আমার জন্য গৌরবের বস্তু ২. আমি যে আল্লাহর দিকে আহŸান করলাম তাতে গর্বের কিছুই নেই। কেননা আমি একজন সাধারণ মুসলমান। আর মুসলমানের কর্তব্যই হলো আল্লাহর দিকে ডাকা।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে সমবেত সাহাবায়ে কেরামকে সম্বোধন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘তোমরা উপস্থিত লোকেরা (আমার বাণীসমূহ) অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌঁছিয়ে দিও’ -(বুখারী)। অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন ‘আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও (তোমরা তা অন্যের নিকট) পৌঁছিয়ে দাও।’ Ñ(বুখারী)
প্রিয় পাঠক! পবিত্র কোরআন-হাদিসের উপরোক্ত বর্ণনাগুলো দ্বারা এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, দ্বীন-ইসলামের প্রচার-প্রসার তথা দ্বীনের দা’ওয়াত ও তাবলীগের কাজ আঞ্জাম দেয়া প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। এ ফরজ কাজটিই নববী যুগ থেকে শুরু হয়ে সাহাবায়ে কেরাম, তাবিঈন, তাবে’-তাবিঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, সালাফে-সালিহীন তথা আওলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অদ্যাবধি চলে এসেছে। যেমন : মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা’লীম ও তাদ্রীসের খিদমাত, ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে মানুষকে দ্বীনের দিকে উদ্বুদ্ধকরণ, জিহাদের মাধ্যমে ইসলামের ঝাÐাকে বুলন্দকরণ, ধর্মীয় রাজনীতির মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের আন্দোলন, হক্কানী পীর-বুযুর্গ কর্তৃক পীর-মুরিদী ও খানকা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের ‘ইস্লাহে নফ্স’ তথা আত্মশুদ্ধি অর্জনের মেহনত, লেখালেখি ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে বাতিল মতবাদ খÐন করে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসার, সর্বোপরি তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে আল্লাহভোলা মানুষদের আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনার ফলপ্রসূ মেহনত এসব কিছুই মূলত উপরোক্ত ‘ফরজিয়াত’ পালন এবং কোরআন-হাদিসের নির্দেশ বাস্তবায়নের এক একটা নমুনা মাত্র।
ইংরেজ বেনিয়া-গোষ্ঠীর রাহুগ্রাসে আক্রান্ত বাংলা-পাক-ভারত উপ-মহাদেশের অধঃপতিত মুসলিম সমাজের চরম যুগসন্ধিক্ষণে অর্থাৎ ১৮৬৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার ‘দেওবন্দ’ নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’। এ দেওবন্দ মাদ্রাসার বহুমূখী দ্বীনি খিদমাত আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ মাদ্রাসারই অন্যতম কৃতী সন্তান ছিলেন সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মনীষী, প্রখ্যাত বুযুর্গ, ওলিয়ে কামিল, মুবাল্লিগে ইসলাম, আল্লামা ইলিয়াস কান্দলভী রাহ. (জন্ম : ১৮৮৫ ঈ. মৃত্যু : ১৯৪৪ ঈ.)। তিনি বিংশ শতাব্দীর অধঃপতিত মুসলিম উম্মাহ্কে নববী আদর্শে অনুপ্রাণিত তথা দ্বীনকে জিন্দা করার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বীয় জন্মস্থান ‘মেওয়াত’ নামক পল্লী অঞ্চলের কিছু সংখ্যক কৃষক-শ্রমিক ও দুস্থ লোকদের নিয়ে প্রচলিত দা’ওয়াত ও তাবলীগের মেহনত শুরু করেছিলেন। সেটিই আজ পত্র-পল্লবে বিকশিত হয়ে বর্তমান বিশ্বের নীরব বিপ্লব সৃষ্টিকারী ‘তাবলীগ জামাত’ নামক এক আন্তর্জাতিক ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসার রূপ ধারণ করেছে। এ ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা থেকে যুগ যুগ ধরে উপকৃত হচ্ছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, পÐিত-মূর্খ, ছাত্র-শিক্ষক, চাকরিজীবী, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি ও পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। এতে রয়েছে আরব-অনারব, সাদা-কালো এবং বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বৈচিত্র্যময় অংশগ্রহণ। সকলেরই লক্ষ্য-উদ্দ্যেশ্য এক ও অভিন্ন। আর তা হলো ‘রেজায়ে মাওলা’ বা আল্লাহ্ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
দ্বীনের জন্য দা’ওয়াত ও তাবলীগ এতই জরুরী যে, দা’ওয়াতের মেহনত ছাড়া দ্বীন টিকে থাকতে পারে না। মাছের জন্য যেমন পানি জরুরী, দ্বীনের জন্য তেমনি দা’ওয়াত জরুরী। ইতিহাস সাক্ষী, যখনই দুনিয়াতে দ্বীনের দা’ওয়াত ও তাবলীগ বন্ধ ছিল তখনি শিরক, কুফর ও গোমরাহীর আঁধার দুনিয়াবাসীকে গ্রাস করেছিল। সুতরাং আল্লাহপাকের দ্বীন কায়েম করার জন্য এবং মানুষকে গোমরাহীর অন্ধকার তথা জাহান্নামের পথ থেকে রক্ষা করে জান্নাতের পথে নিয়ে আসার জন্য দা’ওয়াত ও তাবলীগের মেহনত খুবই জরুরী। যেহেতু আমরা শেষ নবীর উম্মত, আমাদের নবীর পর আর কোনো নবী নেই, তাই এ উম্মতের ওপর জিম্মাদারী হচ্ছে যে, দ্বীনের দা’ওয়াত ও তাবলীগ করা। আর এ জিম্মাদারীটি বর্তমান যামানায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালনের কৌশল হিসেবেই হযরতজী মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রাহ. সাহাবায়ে কেরামের নীতি-আদর্শের আলোকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘জামাতে দা’ওয়াত ও তাবলীগ’। সর্বসাধারণের ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে ‘তাবলীগ জামাত’। এর অপর নাম বলা যেতে পারে-‘ঈমানী আন্দোলন’। মূলত হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রাহ. প্রতিষ্ঠিত এ আন্দোলন তথা তাবলীগ জামাত এর কার্যক্রম নতুন কিছু নয় বরং রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক স্বীয় উম্মতের প্রতি রেখে যাওয়া আমানত ‘দ্বীনের দা’ওয়াত ও তাবলীগের গুরুদায়িত্ব’ পালনের অন্যতম সুসংগঠিত রূপ মাত্র।
বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ. এর ভাষায় বলা যায়, ‘এটা একটা বাস্তব কথা যা কোনোরূপ ভনিতা ছাড়া অকপটে বলা যায় যে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক ও বিস্তৃত, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে উপকারী দা’ওয়াত হলো তাবলীগী জামাতের দা’ওয়াত। যার মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দীন মসজিদ। যে মেহনতের পরিধি ও প্রভাব শুধু পাক-ভারত উপমহাদেশ পর্যন্ত নয় এবং শুধু এশিয়াও নয় বরং তা বিভিন্ন মহাদেশে, মুসলিম ও অমুসলিম দেশসমূহে বিস্তৃত। তাবলীগ জামাতের এ বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র এ জামাতের প্রথম দা’ঈ বা আহŸায়ক হযরতজী মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রাহ. এর এখলাস, আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি রুজু, দোয়া, নিরলস চেষ্টা, কোরবানি এবং সর্বোপরি আল্লাহ তা’য়ালার সস্তুষ্টি কবুলিয়তের ফসল।’
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরতজী মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রাহ. এর শৈশবকালে তাঁর ধর্মপরায়ণা নানী ‘উম্মেবী’ তাকে বলতেন- ‘ইলিয়াস! আমি তোমার মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের খোশ্বু পাচ্ছি।’ মূলত হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রাহ. ছিলেন একজন সত্যিকারের নায়েবে নবী, মুসলিম উম্মাহ্র এক দরদী রাহ্বার। সাহাবাওয়ালা চরিত্র ও জয্বা দিয়ে মহান আল্লাহতা’য়ালা তাকে স্বভাবজাতভাবেই সৃষ্টি করেছিলেন। কাকরাইলের অন্যতম মুরুব্বী হযরত মাওলানা জুবায়ের সাহেব দা.বা. এর ভাষায় বলা যায়- ‘হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রাহ. এর দ্বারা আল্লাহ তা’য়ালা প্রথম যুগের হীরার সমতুল্য সাহাবাওয়ালা দা’ওয়াতের মেহনতকে বিশ্বব্যাপী পুনরায় চালু করে দিয়েছেন। গোমরাহীর অন্ধকারে নিমজ্জিত লাখো মানুষ আজ আলোকোজ্জ্বল হেদায়তের পথে ছুটছে। শিরক ও বিদআত হতে তাওহীদ ও সুন্নতের জীবনের মোড় ঘুরছে।’
মহান আল্লাহ্পাক রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে আল্লাহ্র রাস্তায় বের হয়ে নবীওয়ালা মেহনত তথা দা’ওয়াত ও তাবলীগের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করার তাওফিক দান করুন, তাবলীগ জামাতের বিশ্বব্যাপী কর্মতৎপরতাকে আরো বেগবান করুন এবং এ দ্বীনি খিদমাতকে সকলের জন্য নাজাতের যরী’য়া বানিয়ে দিন, আমীন।
লেখক পরিচিতি : গ্রন্থকার ও কলামিস্ট
শিক্ষক : আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল কোরআন, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।