ইসলাম প্রচারের নিয়ম-নীতি
আল্লাহ জাল্লা শানুহু মানব জাতির জন্য যে দ্বীন অর্থাৎ জীবনব্যবস্থা দিয়েছেন, সেটাই ইসলাম। ইসলাম কোনো
মুফতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ : উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারতের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা দ্বীনের হেফাজত এবং তাবলীগের সুরক্ষা ও শৃঙ্খলার জন্য মাওলানা সাদ সাহেবের সম্পর্কে যে ফতোয়া বা অভিমত প্রদান করেছে তা দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদ করে মিডিয়ায় দিয়েছেন দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের জনৈক গবেষক। নিচে বিবরণ ছাপা হলো।
শুরুর কথা : মুহাম্মদ সাআদ কান্দলবী সাহেবের কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণা এবং প্রশ্ন উত্থাপনযোগ্য বয়ানসমূহের ব্যাপারে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রাপ্ত চিঠিপত্র, নানা প্রশ্ন দেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মুরব্বিগণ স্বাক্ষরিত সর্বসম্মত একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি লেখার আগে জানা গেলো, হযরত সাদ সাহেবের তরফ থেকে একদল লোক কথা বলার জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে আসতে চায়। তারা এসে হযরত সাদ সাহেবের তরফ থেকে এই বার্তা পৌঁছালো, তিনি ভুল সংশোধনের মাধ্যমে তওবা করার জন্য প্রস্তুত। তাই সিদ্ধান্তকৃত একটি কপি তাদের মারফত তার বরাবর পাঠানো হয়। তার পক্ষ থেকেও পত্রটির একটি জবাব মেলে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে দারুল উলুম দেওবন্দ তার জবাব দ্বারা আশ্বস্ত হয় না। যা সবিস্তারে তার বরাবরে পত্রের মাধ্যমে আবার পাঠানো হয়। আকাবির প্রতিষ্ঠিত তাবলীগ জামাতের পবিত্র কাজকে উল্টো ধ্যান-ধারণার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করতে, মাসলাকে আকাবিরের ওপর কায়েম রাখতে, তাবলীগের ফায়দা এবং হক্কানি উলামায়ে কেরামের মাঝে এর ওপর পূর্ণ ভরসা অবশিষ্ট রাখতে, নিজেদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ও আলেমদের হযরত বরাবর উম্মাহর স্বচ্ছতাস্বরূপ সিদ্ধান্ত প্রেরণকে দারুল উলুম দেওবন্দ দীনি কর্তব্য ভাবে। আল্লাহতায়ালা এই মোবারক জামাতকে পূর্ণাঙ্গ হেফাজত করুন। আমাদের সবাইকে মাসলাক ও আমলের দিক থেকে হক পথে কায়েম থাকবার তৌফিক দিন আমিন।
মূল আলোচনা : বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম ও মাশায়েখগণের অনুরোধ ও দাবি হলো, মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্দলবি সাহেবের চিন্তাচেতনার ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দ নিজেদের মতামত যেন স্পষ্ট করে দেয়। হালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্ভরযোগ্য বেশ কয়েকজন উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকেও চিঠিও মিলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগে প্রশ্ন এসেছে বহু।
তাবলীগের ভেতরকার মতানৈক্য ও যাবতীয় অব্যবস্থাপনার কথা আলোচনা সরাসরি পেশ করতে চাই, গেলো বছর কয়েক ধরে ইস্তিফতা ও পত্র মারফত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্দলবি সাহেবের মতাদর্শ চিন্তাচেতনা সম্পর্কিত তথ্য দারুল উলুম দেওবন্দে মেলে। কিছু কথায় আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বেয়াদবিমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ অনেক ব্যাপার এমন রয়েছে, যার ফলে আলোচ্য ব্যক্তি জমহুরে উম্মাহ ও ইজমায়ে সালফের গ-ি থেকে বেরিয়ে যেতে থাকেন।
বেশকিছু ফিকহি মাসায়েলেও তিনি গ্রহণযোগ্য দারুল ইফতাসমূহের দেয়া ফতোয়ার বিপরীত মূলনীতিহীন মত কায়েম করে আমজনতার সামনে জোর দিয়ে বয়ান করে থাকেন।
তাবলিগ জামাতের কাজের গুরুত্ব তিনি এভাবে বয়ান করে থাকেন, যার মাধ্যমে দ্বীনের অন্যান্য শাখার ওপর কঠোরভাবে আঘাত হানা ও দোষক্রটি আরোপ করা এবং হীনতা প্রদর্শিত হয়’ সালফে সালেহিনের দাওয়াতি পুরোনো পন্থার রদ ও অস্বীকার করা হয়। ফলে আকাবির ও আসলাফের মাহাত্ম্যেও ঘাটতি, হীনতা প্রদর্শিত হয়। তার এই মতাদর্শ তাবলীগ জামাতের সাবেক দায়িত্বশীল হযরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহ.) হযরত মাওলানা ইউসুফ সাহেব (রহ.) হজরত মাওলানা ইনামুল হাসান সাহেব (রহ.)-এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সাদ সাহেবের বয়ানসমূহের যতোটুকু আমাদের অবধি পৌঁছেছে, আর যেগুলোর সম্বন্ধ তার প্রতি সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তার মধ্য থেকে কিছু এমন-
০১. রাব্বুল আলামিনের ডাকে হজরত মুসা আলাইহিস সালাম নিজ কওম ও জামাত ছেড়ে নির্জনে একাগ্রতায় চলে যান। ফলে বনী ইসরাঈলের ৫ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। মূল তো ছিলেন তিনিই। আর তিনিই ছিলেন দায়িত্বশীল। মূল যিনি, তার থাকা চাই। হযরত হারুন আলাইহিস সালাম তো ছিলেন তার সহকারী।
০২. নকল ও হরকত তওবার পূর্ণতা ও আত্মশুদ্ধির জন্য। তওবার তিনটে শর্ত তো লোকে জানে। কিন্তু চতুর্থটি কারোর জানা নাই। ভুলে গেছে। আর সেটি হলো আল্লাহর পথে বের হওয়া। এটিকে মানুষ ভুলিয়ে দিয়েছে। নিরানব্বই খুনির সাক্ষাত কোন পাদ্রীর সঙ্গে হয়েছে। পাদ্রী তাকে নিরাশ করেছে। এরপর তার দেখা এক আলেমের সঙ্গে হয়েছে। আলেম তাকে বলেছে, তুমি অমুক বস্তিতে বেরিয়ে পড়ো। অতঃপর সেই খুনি বেরোলো। আর আল্লাহতায়ালা তার তওবা কবুল করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায়, তওবার জন্য আল্লাহর পথে বেরোনো শর্ত। অন্যথায় তওবা কবুল হয় না। এই শর্তটি মানুষ ভুলে গেছে। কেবল তিনটি শর্ত বয়ান করে, অথচ চতুর্থ শর্ত অর্থাৎ আল্লাহর পথে বেরোনোর শর্তটি ভুলে গেছে একেবারেই।
০৩. হেদায়েত প্রাপ্তির স্থল একমাত্র মসজিদ। যেখানে কেবল ধর্মীয় পড়াশোনা হয়, তাদের সম্পর্ক যদি মসজিদের সঙ্গে কায়েম না হয়, তাহলে আল্লাহর শপথ সেখানেও দীন রয়েছে বলে ধরা হবে না। সেখানে ধর্মীয় পড়াশোনা হতে পারে কিন্তু দীন বা ধর্ম হবে না। (এই চয়নে মসজিদের সম্পর্কের সঙ্গে তার উদ্দেশ্য মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া নয়। বরং এ কথা তিনি মসজিদের গুরুত্ব এবং দ্বীনের কথা মসজিদেই করার ব্যাপারে নিজের বিশেষ মতাদর্শ বয়ানকালে বলেন। যার বিস্তারিত অডিও বিদ্যমান। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে গেছে এমন, দীনের কথা মসজিদের বাইরে বলা সুন্নতের বিপরীত যা আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরামের মতাদর্শের খেলাফ।
০৪. পারিশ্রমিক নিয়ে দিন শেখানো দীন বিক্রির নামান্তর। কোরআনে কারীম শিখিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণকারীর আগে ব্যভিচারীরা জান্নাতে যাবে।
০৫. আমার মতে ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইল পকেটে রাখাবস্থায় নামাজ হয় না। উলামায়ে কেরাম থেকে যতো ইচ্ছে ফতোয়া নাও, ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইলে কোরআনে কারিম শোনা, দেখে দেখে পড়া কোরআনে কারিমের অপমান করার মতো। এর দ্বারা গোনাহ বৈ সওয়াব মিলবে না। এর কারণে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমের ওপর আমল করা থেকে বঞ্চিত করে দেবেন। যে সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে বৈধতার ফতোয়া দিয়ে থাকেন, তারা নিঃসন্দেহে ‘উলামায়ে সু’। তাদের মন-মস্তিষ্ক ইহুদি, খ্রিস্টানদের চিন্তাচেতনায় প্রভাবিত। তারা একদম মূর্খ আলেম।
আমার মতে যে আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়, আল্লাহর শপথ! তার অন্তর আল্লাহতায়ালার কালামের মাহাত্ম্যশূন্য। এ কথা আমি এজন্য বলছি, আমায় একজন আলেম জিজ্ঞেস করেছেন, ‘এতে অসুবিধে কি’ আমি বলেছি, আসলে এই আলেমের অন্তর আল্লাহতায়ালার বড়ত্বশূন্য’ চাই তার বুখারি শরিফই মুখস্থ হোক না কেন। আরে, বুখারি শরিফ তো অমুসলিমদেরও মুখস্থ থাকতে পারে।
কোরআন কারিম বুঝে বুঝে পাঠ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ওয়াজিব। যে এই ওয়াজিব ছেড়ে
দেবে তার ওয়াজিব ছেড়ে দেবার গোনাহ মিলবে।
০৬. আমার আফসোস হয় তখন, যখন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় ‘তোমার ইসলাহি সম্পর্ক কার সঙ্গে’? কেন বলুন না তখন, আমার ইসলাহি সম্পর্ক এই দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের সঙ্গে। এ কথার ওপর বিশ্বাস করো, দাওয়াতের কাজ তরবিয়তের জন্য যথেষ্ট নয়; বরং জামিন তথা দায়িত্বশীল। আমি অনেক ভেবে দেখেছি, কর্মীদের পা তোলার মূল কারণ এটাই। আমার তো সেসব লোকের জন্য চিন্তা হয়, যারা এখানে বসে বলে- ‘ছয় নম্বর পূর্ণ দীন নয়’। নিজের দইকে নিজেই টক বর্ণনাকারী কখনও ব্যবসা করতে পারে না। আমার বড় আফসোস হলো, যখন আমাদের একজন তাবলিগি ভাই আমায় বললো, ‘আমার এক মাসের ছুটি দরকার। অমুক শায়খের সঙ্গে এতেকাফের উদ্দেশ্যে যেতে হবে।’ আমি বললাম, আজ অবধি তোমরা দাওয়াত ও ইবাদতকে এক করোনি। তোমাদের কমপক্ষে চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলো তাবলিগের কাজে। এতাদিন পর একজন এসে এভাবে বলে- ‘আমার ছুটি প্রয়োজন। এক মাস এতেকাফের জন্য যেতে চাই।’ আমি বললাম, যে ইবাদতের জন্য দাওয়াত থেকে ছুটি চাচ্ছে, সে দাওয়াত বিনে ইবাদতে উন্নতি করতে পারে কি করে? আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, আমলে নবুওয়াত এবং বেলায়েতের মাঝে যেই পার্থক্য, সেটি কেবল নকল ও হরকত না হবার। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা কেবল দীন শেখবার জন্য তাশকিলে বেরোই না। কারণ দীন শেখবার তো আরও পথপন্থা রয়েছে। সুতরাং তাবলিগে বেরোনোটা কেনো জরুরি? দীনই তো শেখা দরকার। মাদ্রাসা থেকে শেখো, খানকা থেকে শেখো।
তার বয়ানের কিছু এমন অংশও পৌঁছেছে, যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয় সাদ সাহেবের মতে দাওয়াতের ভেতর কেবল তাবলিগি জামাতের বর্তমান ব্যবস্থাপনাই অন্তর্ভুক্ত। একে কেবল তিনি আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবায়ে কেরামের পথপন্থার সঙ্গে ব্যাখ্যা করেন। আর এই বিশেষ সিস্টেমকে সুন্নত ও হুবহু আম্বিয়ায়ে কেরামের মেহনতের মতো সাব্যস্ত করেন। অথচ উম্মতের সর্বসম্মত মাসলাক হলো, দাওয়াত তাবলিগ একটি সামগ্রিক বিষয়। শরিয়তে যার এমন কোনবিশেষ পদ্ধতি আবশ্যক করা হয়নি, যা পরিত্যাগের ফলে সুন্নত ছেড়ে দেয়া সাব্যস্ত হয়। বিভিন্নকালে দাওয়াত তাবলিগের নানান পদ্ধতি ছিল। কোন যমানায়্ দাওয়াতের দায়িত্ব থেকে কোনরূপ একপেশে আচরণ প্রকাশ পায়নি। সাহাবায়ে কেরামের পরে তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন আইম্মায়ে কেরাম, মুজতাহিদিন, ফুকাহা, মুহাদ্দিসিন, মাশায়েখ, আওলিয়ায়ে কেরাম এবং নিকটতম সময়ে আমাদের আকাবিরে কেরাম দুনিয়ায় দীন কায়েম রাখতে নানামুখী পথপন্থা অবলম্বন করেছেন।
সংক্ষিপ্ততার কারণে আমরা এই সামান্য কথাগুলিই পেশ করলাম। এছাড়াও এমন অনেক কথাও আমাদের অবধি পৌঁছেছে, যা জমহুর উলামায়ে কেরাম থেকে দূরে সরে একটি নবউদ্ভাবিত বিশেষ মতাদর্শের প্রমাণবাহক। তার এসব কথা ভুল হওয়াটা একদম স্পষ্ট। সেজন্য এখানে এর ওপর বিস্তারিত আলোচনার দরকার নেই। এর আগেও দারুল উলুম দেওবন্দের তরফ থেকে কয়েক পত্র মারফত এবং দারুল উলুম দেওবন্দে তাবলিগের ইজতেমাকালে বাংলাওয়ালি মসজিদের প্রতিনিধিদলের সামনেও এসবের ওপর মনোযোগ দেবার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব চিঠিপত্রের আজ অবধি কোন জবাব মেলেনি। তাবলীগ জামাত একটি খালেস ধর্মীয় জামাত। যা আমল ও মাসলাক হিসেবে জমহুরে উম্মাহ ও আকাবিরের পদ্ধতি থেকে দূরে সরে গিয়ে হকের ওপর টিকে থাকতে পারে না। আম্বিয়ায়ে কেরামের ব্যাপারে বেয়াদবিমূলক মন্তব্য, উল্টো ধ্যানধারণা, মনগড়া তাফসির, হাদিস-আসারের মনগড়া ব্যাখ্যার সঙ্গে হাক্কানি উলামায়ে কেরাম কখনও ঐক্যমত পোষণ করতে পারেন না। আর এর ওপর চুপ থাকাও যায় না। কারণ এ ধরনের চিন্তাচেতনার ফলে পরবর্তীতে পুরো তাবলীগ জামাতকে হক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়ার মত হয় যেমনিভাবে আগেও বহু ইসলাহি ও দীনি জামাতের এমন পরিণতিই হয়েছে।
এজন্য আমরা এসব উত্থাপিত প্রশ্নের আলোকে উম্মাহ বিশেষ করে সাধারণ তাবলিগি ভাইদেরকে আমরা এ কথাগুলি সম্বন্ধে অবহিত করানোকে নিজেদের কর্তব্য মনে করছি। মৌলবি মুহাম্মদ সাদ সাহেব তার বড় আলেম না হওয়া তথা খুবই স্বল্প ইলমের কারণে নিজের চিন্তাভাবনা, মতাদর্শ এবং কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যায় জমহুর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সঠিক পথপন্থা থেকে সরে যাচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে ভ্রষ্টতার পথ। এ কারণে এসবের ওপর চুপ থাকাটা সমীচীন নয়। কারণ যদিও এই চিন্তাচেতনা একজনের কিন্তু তিনি তাবলিগের মুরব্বী হওয়ায় এসব সাধারণ মানুষের মাঝে খুব প্রবল বেগে ছড়িয়ে যাচ্ছে। জামাতের হালকায় প্রভাবিত ভারসাম্যপূর্র্ণ মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদেরকেও আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আকাবিরের প্রতিষ্ঠিত এই জামাতকে জমহুর উম্মাহ ও আকাবির দায়িত্বশীলদের পথপন্থায় কায়েম রাখবার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।
আর মৌলবি মুহাম্মদ সাদ সাহেবের যে ভ্রান্ত চিন্তাচেতনা সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব সংশোধনের পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যান। যদি এর ওপর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আশঙ্কা হয়, আগামীতে তাবলিগ জামাতের কারণে উম্মাহর একটি বৃহৎ অংশ পথভ্রষ্টতার শিকার হয়ে গোমরাহ দলে পরিণত হবে।
আমাদের প্রার্থনা হলো, রাব্বুল আলামিন যেনো তাবলিগ জামাতের হেফাজত করেন। সঙ্গে সঙ্গে একে যেন আকাবিরের পথে একনিষ্ঠভাবে জারি ও প্রবহমান রাখেন। আমিন। সুম্মা আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।