Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এমপিদের স্ত্রীরাও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারে

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শর্ত সাপেক্ষে এমপিদের স্ত্রীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে কোনো বাধা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে সরকার দলীয় এমপি রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালা-২০১৬ অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম বাংলাদেশের সব নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী কতিপয় শর্ত পালন সাপেক্ষে এমপিদের স্ত্রীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে কোনো বাধা নেই। পুলিশ ও জনসংখ্যার অনুপাত ক্রমন্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ অনুপাত আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশের জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সংরক্ষিত মহিলা এমপি বেগম হাজেরা খাতুনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে বিভিন্ন পদবির ৩৩ হাজার ১০২টি এবং চলতি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত ৫০ হাজার পদ সৃজনের অংশ হিসেবে ৪৫ হাজার ৪৩৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি আলহাজ বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি এন্ট্রি সিস্টেম চালুর পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২০১০ সালের মার্চ মাস থেকে সব থানায় শুরু হয়। অনলাইন জিডি কার্যক্রম বাস্তবায়নকাল পর্যবেক্ষণে কতিপয় সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। ফলে প্রত্যেক থানায় অনলাইন জিডি এন্ট্রি চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম সাভিং ইনোভেশন ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় অনলাইন জিডি সফটওয়্যারটির ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে এনআইডি ডাটা শেয়ারিংয়ের চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে এবং এপিআই ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম চলছে। অনলাইন জিডি সফটওয়্যার এবং এনআইডি ও বিআরটিএর ডাটাবেজ এর মাধ্যমে ইন্টিগ্রেশন করার পর এ সার্ভিসটি চালু করা সম্ভব হবে।
রুস্তম আলী ফরাজীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অপরাধীদের আটক করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ। তিনি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি) গঠন করা হয়েছে। এ সেল মোবাইল ট্র্যাকিং করে অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্তকরণে কাজ করে যাচ্ছে। সিআইডি ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং আইটি ফরেনসিক শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ওই ল্যাবে আন্তর্জাতিক মানের আইটি ফরেনসিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজিটাল আলামত পরীক্ষা করা হয়। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যার ব্যবহার করে অপরাধীদের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে কোনো থানায় অপরাধী ধৃত হলে সে সংক্রান্ত অন্য কোনো থানা খুব সহজেই জানতে পারে। এছাড়া কোনো অপরাধী জামিনে মুক্ত হয়ে নতুন কোনো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে কি না তা সহজে বুঝতে পারা যায়। মন্ত্রী বলেন, এসব চিহ্নিত জটিল সমস্যা সমাধানে বায়োমেট্রিক তথ্যসহ অপরাধীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে, যা এসআইভিএস (সাসপেক্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম) ডাটাবেজ নামে পরিচিত। এই সিস্টেমে অপরাধীকে খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে এ প্রযুক্তি ডিএমপিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট ও ডিজিটাল ডর্কেটিং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্তকরণে থানাসমূহ সিআইডি, ডিএমপি ও পিবিআইর সহায়তা নিয়ে থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ