Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


শ্রীপুর থানার এসআই’র কাÐ!
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে এক যুবতী নারীকে রোগী সাজিয়ে ঔষুধ ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে শ্রীপুর থানার এস আই নিজেই ফেঁসে গেলেন। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার মাষ্টারবাড়ী বাজারে হাসান ফার্মেসীতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রোগী সেজে এক যুবতী তার রোগের কথা জানাতে ফার্মেসির পেছনের কক্ষে ডেকে নেয় হাছান ফার্মেসীর মালিক ওষুধ ব্যবসায়ী হাসনকে। রোগের বর্ণনা দেওয়ার একপর্যায়ে চিৎকার করে উঠে ওই যুবতী। সাথে সাথেই ফিল্ম স্টাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশের আগমন ঘটে। এসময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই লুৎফর রহমানসহ দু’কনস্টেবল ওই কক্ষে ঢুকে চিৎকারের কারণ জানতে চাইলে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করে ওই যুবতী। পরে পলীø চিকিৎসককে আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন এসআই লুৎফর রহমান।
যুবতীকে রোগী সাজিয়ে নিরীহ ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায়ের ওই অভিনব নাটকীয় ঘটনা টের পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ফুঁসে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ওই এসআইসহ পুলিশের তিন সদস্যকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। ওই সময় উত্তেজিত জনতা প্রায় আধা ঘণ্টা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশের ‘সোর্স’ বলে খ্যাত ওই যুবতীর নাম নাজমিন আক্তার মীম। সে পুলিশের মাধ্যমে এলাকার ধনী ব্যক্তিদের সাথে একেকসময় একেক ধরনের প্রতারণার ফাঁদপাতে।
খবর পেয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন এসআই লুৎফর রহমানসহ দু কনস্টেবলকে।
ঔষুধ ব্যবসায়ী হাসান মাহমুদ জানান, রোগীর লক্ষন দেখে তাকে ভিতরের চেম্বারে রোগীর বেডে নিয়ে চিকিৎসার জন্য দেখতে থাকেন। ঐ সময় প্রতারক যুবতী তাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে উঠে। তাৎক্ষণিক ওই কক্ষে ঢুকে এসআই লুৎফর রহমানসহ দু কনস্টেবল যুবতীর কাছে চিৎকারের কারণ জানতে চান এবং যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে। পরে তাকে আটক করে নগদ দু লাখ টাকা দাবি করেন এসআই লুৎফর।
বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির সত্তাধিকারী মো. সেলিম মিয়া জানান, ঘটনা টের পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ফার্মেসির ভেতর এসআই লুৎফর ও দু কনস্টেবলসহ ওই যুবতীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই সময় ক্ষুব্ধ জনতা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। শ্রীপুর থানার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় ব্যবসায়ী ও জনতা। একই এলাকার ঔষুধ ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া অভিযোগ করেন, গত রোববার রাতে একই যুবতীকে রোগী সাজিয়ে একই কায়দায় পাশের ওষুধ ব্যবসায়ী এবিএম মুসার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন এসআই লুৎফর রহমান। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ