বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট অফিস : সিলেটেপ্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদগুলোতে সংরক্ষিত আসনে সদস্য হিসেবে যুক্ত হবেন নারীরা। পরিষদের মাঝামাঝি সময়ে যুক্ত হওয়ার এ সুযোগ পাচ্ছেন তারা। কিন্তু প্রথমবারের মতো হলেও সেটিতে খুব একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। নির্বাচনের তফসিলে উল্লেখ থাকা জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে মাত্র ৭টি থেকেপ্রার্থীতার আবেদন পড়েছে। বাকি ৫টি থেকে কোন আবেদনই জমা পড়েনি। এদিকে এই ৭টির মধ্যে কানাইঘাট থেকে জমা পড়া সবক’টি মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে কোন সম্মানী ভাতা না থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নারী সদস্যদের বেছে নিতে ভোট হবে ২৯ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে নারী সদস্যদের মনোনয়ন পত্র দাখিল এবং বাছাইয়ের কাজ। গত সোমবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সিলেটের ১২ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলা থেকে মোট ২৩টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের নির্ধারিত দিনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রগুলোর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২টি। এই তিনটিই হচ্ছেই কানাইঘাটের। সেই হিসেবে এখন মনোনয়নপত্র ঠিকলো ২১টি। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার প্রার্থীরা আপিলের সুযোগ পাবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ জানুয়ারি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে- আগামী ২৯ জানুয়ারি সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ১২ উপজেলাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর একটি উপজেলা ফেঞ্চুগঞ্জ সেটিতে কোন নির্বাচন হচ্ছেনা মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে। সেজন্য ফেঞ্চুগঞ্জ ছাড়া সিলেটের বাকি ১২ উপজেলার সংরক্ষিত নারী সদস্যের পদে এ উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। উপজেলাগুলো হচ্ছে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও বিয়ানীবাজার। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১২টি মধ্যে ৭টি উপজেলাতে নারীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি ৫টি থেকে আবেদনই জমা পড়েনি। এদিকে সোমবার মনোনয়নপত্র বাছাইকালে কানাইঘাট থেকে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রগুলোও বাতিল হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার ও এ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিলেট সদর থেকে ৪টি, ওসমানীনগর থেকে ৩টি, জকিগঞ্জ থেকে ৩টি, কানাইঘাট থেকে ৩টি, গোলাপগঞ্জ থেকে ৩টি, বিশ্বনাথ থেকে ৩টি ও বিয়ানীবাজার থেকে ৫টি মনোনয়ন পত্র জমাপড়ে। আর অবশিষ্ট উপজেলাগুলো থেকে কোন মনোনয়নই জমা পড়েনি। এগুলোর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলা থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৪প্রার্থী। তারা হচ্ছেন মঙ্গলা রাণী সূত্রধর, ফাতিমা আক্তার পারুল, শিরিন বেগম ও লাভলি বেগম। ৫টি উপজেলাতেপ্রার্থী না থাকার কারণ হিসেবে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা বলছেন- ‘সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে নির্বাচনে অংশ নিতে অনেকেই আগ্রহী নয়। কারণ এই পদে কোন সন্মানীভাতা নেই।’ তারা বলেন- ‘সরকারীভাবে যদি এই সদস্যপদের বিপরীতে সম্মানীভাতার ব্যবস্থা থাকতো তবে হয়তোপ্রতিটি উপজেলাতেইপ্রার্থীতার আবেদন চোখে পড়তো।’ নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন- ‘স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ১৩(৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন উপজেলা সমূহের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য নিবার্চন কমিশন কর্তৃক জারি করা গত ৮ জানুয়ারির স্মারক নির্দেশনা মতে উক্ত নির্বাচনের তফসিলের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি নির্বাচন আয়োজনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ ইতোমধ্যে এ নির্বাচন আয়োজনের জন্যপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে পত্র প্রেরণ করেছে নির্বাচন অফিস। এর আগে বিগত ২০১৪ সালে কয়েকটি ধাপে দেশের অন্যান্য উপজেলাগুলোর সাথে জেলার ১২ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিপ্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে সিলেট জেলার ৬টি উপজেলায় একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে বিশ্বনাথ জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ। দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বালাগঞ্জে, তৃতীয় ধাপে ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ দক্ষিণ সুরমায় উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ২৩ মার্চ সিলেট সদর উপজেলা ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ বিয়ানীবাজার উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।