প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শাকিব ভুল বুঝতে পারবে এবং স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসবে-অপু বিশ্বাস
গত সোমবার ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর অফিসে শাকিব-অপুর ডিভোর্স সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে শাকিব উপস্থিত ছিলেন না। তার কোনো প্রতিনিধিও পাঠাননি। তবে অপু বিশ্বাস হাজির হয়েছিলেন। শুনানিতে অপু সংসার টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দেন। শুনানি শেষে অপু বলেন, আমাকে শুনানিতে জিজ্ঞেস করা হয়েছে শাকিবের আনা অভিযোগ স¤পর্কে। আমি জবাব দিয়েছি। আমার নামে আনা অভিযোগ যে মিথ্যে তার পক্ষে প্রমাণও দিয়েছি। মনোমালিন্য সব সংসারেই হয়। তাই বলে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া হাস্যকর। যদি ডিভোর্সই চ‚ড়ান্ত সমাধান হয়, তবে এই দেশে রোজ রোজ শত শত সংসার ভেঙে যাবে। অপু বলেন, ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর সিনিয়র সচবি হেমায়েত হোসেন আমাকে জিজ্ঞেস করেন ডিভোর্স চাই কিনা। আমি বলেছি, আমার একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যত আমি অনিশ্চয়তায় ফেলতে চাই না। তাই ডিভোর্সের পক্ষে নই। শুনানিতে গিয়ে জানতে পেরেছি শাকিব খান যে আবেদন করেছেন ডিভোর্সের জন্য সেটি বাতিলও হতে পারে। কারণ, ডিভোর্সের জন্য যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা দেয়া দরকার সেগুলো তিনি জমা দিতে পারেননি। রাগের মাথায় তিনি আমাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশে প্রচলিত ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে ডিভোর্সের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেইসব নিয়মে শাকিবের আবেদন শুদ্ধ নয়। শাকিবের আইনজীবীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন জমা দেয়া হয়নি সেটি জিজ্ঞেস করেছে সিটি করপোরেশন। তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। যে আবেদনটি সঠিকই নয়, তার ফলাফল নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি সংসার করতে বরাবরই আগ্রহ প্রকাশ করেছি আজও করছি। অপু বলেন, শাকিব যেভাবে খেয়াল খুশিমতো ডিভোর্স দিতে চাইছেন, এমনটা হলে তো সব স্বামীরাই যখন খুশি তখন বউ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু মুসলিম পারিবারিক আইনে নারীদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। অন্যায়ভাবে ডিভোর্স হলে আইনের সাহায্য নেয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। তবে শুনানিতে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য সবকিছু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অপু বলেন, ভাঙন কেউই চায় না। না কোনো ব্যক্তি, না কোনো রাষ্ট্র। শাকিব একজন সুপারস্টার হয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেবেন? তার সঙ্গে আমার মতের এমন কোনো অমত নেই বা আমরা কোনোদিন ঝগড়া করে হাতাহাতিও করিনি। যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা ভুল বোঝাবুঝি। নিজেরা কথা বললেই মিটে যায়। এর জন্য এতকিছুর দরকার ছিল না। অপু উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন, আমরা আলাদা হলে আব্রামের জীবনটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। মা হিসেবে আমি এটা কখনোই চাই না। আমি শাকিবকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম, সেই ভালোবাসা এখন পর্যন্ত একবিন্দুও কমেনি। আরও দুটি শুনানি বাকি রয়েছে আমাদের। আমার বিশ্বাস, শাকিব তার ভুল বুঝতে পারবে এবং স্ত্রী-পুত্রের কাছে ফিরে আসবে। এতে আমাদের দুজনের ইমেজও বাঁচবে, ছেলেও আর দশটা ছেলের মতো স্বাভাবিক জীবন পাবে। বিচ্ছেদ কোনো সমাধান নয়, হতে পারে না। এদিকে সিটি করপোরেশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শাকিব-অপুর ডিভোর্সের ব্যাপারে দ্বিতীয় শুনানির দিন ধার্য করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল ৩ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসাইন জানান, অপু বিশ্বাস আজকের বৈঠকে বলেছেন, শাকিব খানের জন্য তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করেছেন, তাদের পরিবারে বর্তমানে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাই তিনি সব কিছুর পরও শাকিব খানের সাথে সংসার করতে চান। তিনি বলেন, আমরা অপু বিশ্বাসের কথা শুনেছি। যেহেতু শাকিব খান বা তার কোন প্রতিনিধি আসেননি তাই আগামী ফেব্রæয়ারী মাসের ১২ তারিখ দ্বিতীয় বৈঠকের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। সে তারিখেও যদি শাকিব খান যোগাযোগ না করেন, তাহলে তৃতীয় ও শেষ বৈঠকের তারিখ জানানো হবে। উল্লেখ্য, কোনো পক্ষ তালাকের আবেদন করলে আদালতের কাজ হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে উভয়কে তিনবার ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমঝোতা না হলে স্বাভাবিকভাবেই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। এখানে সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।