বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এখানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রিত। রাজনৈতিকভাবেও চট্টগ্রামে শান্তি বিরাজমান। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে তার কোন বিরোধ নেই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল হওয়ারও কোন কারণ নেই জানিয়ে মেয়র বলেন, এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নগর ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ষ্টিফেন বøুম বার্নিকাটের সাথে মতবিনিময়কালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি। এরপর থাই রাষ্ট্রদূতের সাথেও সৌজন্য বৈঠক করেন মেয়র। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে মেয়র বলেন, ৬০ বর্গমাইলের চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ নগরীর নাগরিকদের জীবন মান অনেকাংশে উন্নত। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হলে নগরীর জনসংখ্যা বেড়ে মেগাসিটিতে রূপ নিতে পারে। সে বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে নগরবাসীর সেবার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের রয়েছে চমৎকার সু-সম্পর্ক। রোহিঙ্গা ইস্যুসহ জঙ্গি ও সস্ত্রাসবাদের বিষয়ে আমেরিকা বাংলাদেশের পাশে থাকায় এ দেশের জনগণ আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ। গণতান্ত্রিক ও শান্তির দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী আমেরিকা। তাদের অব্যাহত সহযোগীতার জন্য মেয়র রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমেরিকার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত মার্শা ষ্টিফেন বøুম বার্নিকাট সিটি মেয়রের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এসে তিনি অভিভূত। সিটি মেয়রের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গৃহিত পরিকল্পনা সমূহ অবগত হয়ে তিনি তার প্রশংসা করেন। এ সময় প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ইকনোমিস্ট পত্রিকার ভাষ্যমতে ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোন দেশে হয়নি। বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে বিশ্বে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশী শ্রমিক কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষি, আইটি, নারী উন্নয়নে আরো সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের আরো বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা উচিত বলে মনে করেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যি ৬.৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি সম্ভাবনাময় খাত যথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক ইত্যাদিতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।