বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর ব্যস্ততম জামালখানে গতকাল (মঙ্গলবার) প্রকাশ্যে এক স্কুল ছাত্রকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আদনান ইসফাত (১৫) নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা আদনান আখতারুল আলম এলজিইডি খাগড়াছড়ি জেলার প্রকৌশলী। জামাল খান সড়কে প্রেসক্লাব ভবনের পেছনে তাদের বাসা। প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাÐের নেপথ্যে এলাকাকেন্দ্রিক কিশোর গ্রæপের বিরোধের জের বলে ধারণা করছে পুলিশ। ইসফাত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরীর নাতি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে কয়েকজন কিশোর পিস্তল ও ছুরি হাতে তাকে তাড়া করে। একপর্যায়ে আইডিয়াল স্কুলের সামনে তাদের দুইজন তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় সে দৌঁড়ে জামালখান মোড়ের দিকে এসে রাস্তায় পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক দুই ছাত্রকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসক ইসফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, যে চার-পাঁচজন কিশোর তাকে পিস্তল ও ছুরি হাতে তাড়া করছিল তারা আদনানের সমবয়সী। প্রকাশ্যে তাকে ছুরিকাঘাত করে ওই কিশোররা অস্ত্র ও ছুরি হাতে হেঁটে জামাল খান মোড় থেকে চেরাগী পাহাড়ের দিকে চলে যায়। এ খুনের ঘটনা দেখে কিছু লোক জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীদের ধরতে কেউ এগিয়ে আসেনি। জামাল খান মোড়ে একদল টহল পুলিশ থাকলেও তারাও ছিল নির্বিকার। আদনানের স্বজনরা জানান, দুপুরে জামাল খান মোড়ে যাচ্ছে বলে বাসা থেকে বের হয় সে। এরপর হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়। খবর পেয়ে নিহতের মাসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তাদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এভাবে খুনের ঘটনায় হতবাক নিহতের স্বজনেরা। তারা খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পুলিশ জানায়, হাসপাতালে আদনানের মৃত্যুর পর জরুরী বিভাগে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের একজনের পকেট থেকে একটি সাইকেলের চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তারা হামলাকারী দলের সদস্য। হাসপাতালে তার অবস্থা জানতে গিয়েছিল তারা। প্রাথমিকভাবে জামাল খান কেন্দ্রিক টিনএজার গ্রুপের বিরোধের জের বলে ধারণা করছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।