পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টের নামে হাসপাতালে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় ও নানা ধরনের হয়রানি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংসদে নোটিশ দেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের জাতীয় পার্টির এমপি বেগম নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী। নোটিশের জবাবে ওই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এ নিয়ে একটি যুগোপযোগী আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা হলে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতাল আছে। তবে এত জনসংখ্যাকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে উঠছে। আমি চার বছরে দেখেছি অনেক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে আটকে রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন। আমি অনেককে রক্ষাও করেছি। সেসব হাসপাতালের নাম এখানে বলতে চাই না।
তিনি বলেন, রোগীদের জিম্মি করা একটি অপরাধ। এটা অমানবিক। এ ধরনের অভিযোগে অনেক হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স দিয়েছি তার মানে এই নয় যে, অমানবিক কাজ করবেন। এ কারণে আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই এমপির হেলথ ইন্স্যুরেন্স করা হবে কি না এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতীতে পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি অর্থায়নে হেলথ কার্ড দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা দেশের অন্যান্য এলাকায়ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
এরআগে সংসদে উত্থাপিত নোটিশে বলা হয়, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের সকল বিষয়ে লক্ষ্য রেখে কাজ করে চলেছে। স্বাস্থ্যখাত একটি জরুরি এবং জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। দেশে নতুন হাসপাতাল স্থাপন ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় দেশের বড় বড় স্বনামধন্য হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলে হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে তারা কিভাবে অধিক টাকা পাওয়া যায় সেদিকে তাদের লক্ষ্য থাকে বেশি। নোটিশে আরো বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে আইসিইউতে রেখে লাইফ সাপোর্টের নামে দিনের পর দিন রোগীকে রেখে দেয়। রোগীর স্বজনদের রোগী দেখতে পর্যন্ত দেয় না। দেখা যায় রোগী কয়েক দিন আগেই মারা গিয়েছে। এ বিষয়টি প্রায়ই পত্রিকায় লক্ষ্য করা যায়।
নোটিশে বলা হয়েছে, একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের যদি এ ধরনের সেবা প্রদান করে তাহলে দেশের মানুষ কিভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা পাবে। এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য দেশের বেশিরভাগ রোগী বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি অতীব জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।