পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করলে তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অত্যন্ত সহৃদয়, সদালাপী, ন¤্র ও অন্যের প্রতি আন্তরিক তাবিথ আউয়াল জনগণের সাথে মিশে যেভাবে কৃতিত্বের সাথে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন তাতে তিনি আধুনিক ঢাকা গড়তে সক্ষম হবেন বলেই জনগণ বিশ্বাস করে। এজন্য বিএনপি’র পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালে পক্ষে ২০ দলীয় জোটসহ সাধারণ জনগণকে তার পাশে দাঁড়াতে ও ভোট দিতে আহবান জানান রিজভী। গতকাল (মঙ্গলবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গত সোমবার রাতে বিএনপি’র মনোনয়ন বোর্ড ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে তরুণ, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তাবিথ আউয়ালকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিগত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তিনি বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। সেসময় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে তিনি নারী-পুরুষসহ সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার প্রচারণায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ঢাকাবাসী। কিন্তু যদি বিগত নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতো, যদি ভোট ডাকাতি না হতো তাহলে তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন। মাত্র দু’ঘন্টার ভোটে তাবিথ আউয়াল তিন লাখের অধিক ভোট পেয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ভোটের বাকি সময়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মহৌৎসব চালিয়ে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় মাত্র অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এবারও দল থেকে আমরা তাবিথ আউয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছি। এখন নির্বাচন কমিশনে প্রার্থী হিসেবে ফাইল করা, জমা দেওয়া, বাছাই ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হলে তিনিই (তাবিথ আউয়াল) ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হবেন।
প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সিইসি আবারো আরেকটি নীল নকশা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন সম্পন্ন করে কী না সে প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান ইসির অধীনে সাম্প্রতিক কালের নির্বাচনগুলো হয়েছে সেরা প্রহসন। তিনি বিএনপি’র পক্ষ থেকে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ডিএনসি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে দ্রæত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর উদ্যোগ নিন। রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরী করার পদক্ষেপ নিন। ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে নির্ভয়ে নির্বাচনী কর্মকাÐ পরিচালনা করতে পারে সে ব্যবস্থা নিন। সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভয়-ভীতিমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী করুন। কারণ এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশের কোন আলামত নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি। এখনও তারা নির্বাচনকালীন সরকারের রূপ রেখা দিতে পারেনি। পরিস্কার করে বলুন-আপনারা কোন ধরণের সরকার চান। তিনি আরো বলেছেন-পরিস্কার করে বলছি-সংবিধানের বাইরে যেতে পারবো না, আর নির্বাচনকালীন সরকার সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর শ্রবণেন্দ্রীয়তে সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু জাতি বারবার বিএনপিসহ বিরোধী দলের সুষ্পষ্ট উচ্চারণ শুনেছে যে, বর্তমান সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সংকীর্ণ দলীয় চিন্তার বাইরে এক ধাপও ফেলেন না। বিরোধী দলকে তিনি শত্রæ জ্ঞান করেন এবং বিরোধী মত ও সমালোচনায় তিনি অস্থির হয়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। সুতরাং এধরণের মনোবৃত্তির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কখনোই কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।