Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামুতে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কমছে তামাক চাষ

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রামু (কক্সবাজার) সংবাদদাতা : পরিবেশ রক্ষা ও তামাক চাষ বর্জন করে কক্সবাজারের রামুতে নির্মিত হয়েছে মেসার্স আরআইএম ইটভাটা। রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা গ্রামে নির্মিত এ ইটভাটায় মাটি সরবরাহের ফলে আশপাশের চাষ অনুপযোগি ও উচু-নিচু অনেক কৃষি জমিও চাষাবাদের উপযোগী হচ্ছে।
জানা গেছে, ফরম ‘ক’ (বিধি-২ (১) মোতাবেক দেশের প্রচলিত ইট পোড়ানো আইন অনুযায়ি ২০১১ সালের ২৭ আগষ্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, রামু উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাগণ জমি পরিদর্শন করেন। তারা দেখতে পান জমি উচু-নিচু, চাষাবাদের অনুপযোগী এবং চিটাগাং সাউথ লীফ রিজিওন নাইক্ষ্যংছড়ি তামাক চাষের রেজিস্ট্রিভূক্ত চাষিদের জমি ছিলো। মতামতের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর এ ইটভাটার অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদান করে।
পরবর্তীতে ওই জমিতে পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে ইটভাটা নির্মাণ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর এ ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান করে। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) থেকেও এ ইটভাটায় ইট পোড়ানো এবং খারখানার লাইসেন্স প্রদান করে। রয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স। এছাড়া ভ্যাট, আয়কর, অন্যান্য ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে এ ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে।
মেসার্স আরআইএম ইটভাটার ম্যানেজার মো. সাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ইটভাটা পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতির। ফলে এটি কালো ধোঁয়া মুক্ত এবং পরিবেশের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। এ ইটভাটার কারনে আশপাশের অনেক উচু-নিচু ও চাষাবাদের অনুপযুক্ত জমি চাষাবাদের উর্বর জমিতে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফারুক, আজিজ, তাজউদ্দিন ও আবদুল মান্নান জানান, এ জমিতে তামাক ক্ষেত ছাড়া কিছুই ছিলো না। সেখানে ইটভাটা স্থাপনের ফলে অপ্রযোজনীয় মাটি সেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ইটভাটার আশপাশে কৃষিজমিতে এখনো তামাক ক্ষেত রয়েছে। সেখানে গেলে বিষাক্ত তামাক ক্ষেত চোখে পড়বে।
সম্প্রতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় রামুতে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন নিয়ে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওইসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে রামুতে ২৭০ একর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে। তামাকের আগ্রাসনে জর্জরিত এমন এলাকাতে আরআইএম ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছিলো। যার কারনে এ ইটভাটা বিষাক্ত তামাক চাষের পরিবর্তে এলাকাবাসীকে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা শিল্প উপহার দিয়েছে। যেখানে পরিত্যক্ত মাটির ব্যবহার এবং বিপুল বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ