বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবি ভিলার মেসে অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন ৩ জঙ্গির মধ্যে ২ জনের এখনও পরিচয় মিলেনি। র্যাব বলছে, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে শনাক্ত হওয়া মেজবা উদ্দিনের সঙ্গে নিহত দুই জনের পূর্ব পরিচয় ছিল। নিহত মেজবা উদ্দিনের সঙ্গে তাদের চলাফেরা করার তথ্য র্যাব পেয়েছে। র্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, অভিযানে নিহত অন্য দুজনের পরিচয়ও যাচাই করা হচ্ছে। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মেজবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া দুই যুবকের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিহত মেজবা উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মেজবার বাবা নাম মাওলানা এনামুল হক। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাদুয়ারায়। ৪ ভাই তিন বোনের মধ্যে মেজবা চতুর্থ। মনোহরগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে। ২০০৭ সালে রাজধানীতে আসার পর সায়েদাবাদ এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজ ভাড়া নেয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর জনপদ মোড়ে মেজবা টায়ার শপ নামে নিজে একটি মোটর গ্যারেজ চালু করে। যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড় এলাকার একটি মেসে থাকতো। এ সময় মেজবা মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার পাশাপাশি ধর্মকর্ম পালন করতে শুরু করে। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। গত বছরের ২৮ মে পারিবারিকভাবে তার পাশের গ্রামের শারমিন আক্তারকে বিয়ে করে। এর কিছুদিন পর স্ত্রীর কাছে বলে, প্রচলিত রাষ্ট্র ও সমাজের নিয়ম সে সমর্থন করে না। গত ২০ অক্টোবর সে গ্রামের বাড়িতে যায়। তার সঙ্গে ওই সময় দুই যুবক ছিল। অপরিচিত ওই যুবকের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজবা পরিবারকে বলে, ওই যুবক তার মায়ের পেটের ভাইয়ের থেকেও বেশি আপন। এরপর ২৬ অক্টোবর স্ত্রীসহ পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গ্রাম ছাড়ে। এরপর থেকে পরিবারে সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে স্ত্রী ও মার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে, জান্নাতে দেখা হবে’। এরপর ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মেজবার পরিবার গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি ‘নিখোঁজ’ সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর- ১৪২১) করেন। উল্লেখ্য গত ১২ জানুয়ারী শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিম নাখালপাড়ার ১৩/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় একটি মেসে র্যাব অভিযান চালায়। এতে মেজবা উদ্দিনসহ ৩ জন নিহত হয়। ওই বাড়ির মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পার্সার। নিহতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র সদস্য বলে র্যাব জানায়। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ৩টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩ টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ২টি বিদেশী পিস্তল, ১৪টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর ও ৪টি পাওয়ার জেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করছে র্যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।