বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : রৌমারীতে এক শিক্ষকের দুনীতির প্রতিবেদন দাখিলের জেরধরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এঘটনার পর চারদিন ধরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলাম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রৌমারী উপজেলা চত্ত¡রে শিক্ষা অফিসের সামনে এঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
জানা গেছে, জহরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কাশিয়াবাড়ীতে যোগদান করেন। যোগদান কিছুদিন পর তিনি বিদ্যালয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রাইভেটের নামে নাইটস্কুল খোলেন। চতুরতা করে তিনি প্রতিরাতে পাহাড়াদার হিসাবে থাকেন। সুযোগ বুঝে গভীর রাত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তপ্ত ও যৌন হয়রানীর কাজে লিপ্ত হন। প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় ফেল করার হুমকি দেয়। এনিয়ে কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষক জহরুল ইসলামের নামে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরের নিকট বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুফর রহমান বিষয়টি আমলে নিয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলী তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার আগে শিক্ষকের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তার ভগ্নিপ্রতি অফিস সহকারী আবুল হাশেম বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে শিক্ষক জহরুল ইসলামকে যাদুরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেয়।
্এ ব্যাপারে শিক্ষক জহরুল ইসলামের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ষডযন্ত্রের শিকার । আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুন্ন বানোয়াট, ভুয়া ও মিথ্যা। আমি এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা ঞ্জাপন করছি। আমি ও মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি নরুল ইসলামের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি ঘটনাটি আমি শুনেছি। তা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। উভয় পক্ষই লিখিত দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।