Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বমানের নাট, বোল্ট ও স্ক্রু তৈরি করছে ওয়ালটন

| প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নাট, বোল্ট ও স্ক্রু। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবইলসহ অসংখ্য পণ্য উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল। আকারে ছোট হলেও এসব প্রকৌশল পণ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। সংশ্লিষ্ট পণ্যের দীর্ঘস্থায়ীত্বের জন্য এগুলো যথেষ্ট মানসম্পন্ন হতে হয়। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের এসব পণ্য ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস’ হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশে এই খাতের রয়েছে বিশাল বাজার। যার বেশিরভাগ আমদানি নির্ভর। ওয়ালটন এখন দেশেই তৈরি করছে আমদানি বিকল্প বিশ্বমান সম্পন্ন নাট, বোল্ট ও স্ক্রু। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির প্রস্তুতিও নিচ্ছে ওয়ালটন।
২০১৭ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজে স্থাপন করা হয়েছে নাট-বোল্ট ও স্ক্রু’র উৎপাদন কারখানা। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮০০ টন। নিজস্ব চাহিদা ৩৬০ থেকে ৪০০ টন। সে হিসেবে প্রায় ১৩০০ টন নাট-বোল্ট-স্ক্রু দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে দেশীয় কিছু ফার্নিচার, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের পণ্য দেশে উৎপাদিত হওয়ায় আর আমদানিতে করতে হবে না ভেবে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এর মান নিয়েও। বিদেশী কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও রপ্তানি বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ওয়ালটনের স্ক্রু আরএনডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের প্রধান পৃথ্বিশ কুমার সাহা বলেন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও দক্ষ প্রকৌশলী-টেকনিশিয়ানের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নাট-বোল্ট ও স্ক্রু’র উৎপাদন ইউনিট। এখানে বিভিন্ন সাইজের ফাসেনার (যা দিয়ে বিভিন্ন অংশকে একত্রে আবদ্ধ করা হয়) তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ থেকে ১০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং ৫ থেকে ৭৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যরে সেলফ ট্যাপিং ও সেলফ ড্রিলিং স্ক্রু, ৮.৮ ও ১০.৯ গ্রেডের হেক্সাগোনাল ও অ্যালেন বোল্ট; মেশিন স্ক্রু এবং হেক্সাগোনাল নাট। উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে তাইওয়ানের ডাই ও মেশিনারিজ। মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মান প্রযুক্তির ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শতভাগ হিট ট্রিটমেন্টে তৈরি এসব প্রকৌশল পণ্যের মান যাচাইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে স্টেরিও মাইক্রোস্কোপ, ম্যাটালার্জিক্যাল মাইক্রোস্কোপ ও মাইক্রো হার্ডনেস যন্ত্র। সূক্ষভাবে এসব ধাতব পণ্যের মান যাচাইয়ে মাইক্রোস্কোপে প্রায় ১ হাজার গুণ বড় করে স্ট্রাকচারাল টেস্ট করা হয়। অন্যদিকে মাইক্রো হার্ডনেস যন্ত্র দিয়ে হার্ডনেস মাপা হয়। কমপক্ষে ৯৬ ঘন্টা সল্ট স্প্রে টেস্টে উত্তীর্ণ ওয়ালটনের নাট-বোল্ট ও স্ক্রু’র মরিচারোধক ক্ষমতা তুলনামূলক অনেক বেশি।
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, দেশ-বিদেশে নাট, বোল্ট ও স্ক্রু’র মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ নামী-দামী প্রতিষ্ঠানগুলোও এসব আউটসোর্সিং করে থাকে। ওয়ালটন নিজেরা এসব পণ্য তৈরি করায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগোলো। যা দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ