বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোটার্রি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ হেফাজতে থাকা ফৌজদারী মামলার এক আসামিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমের সাজা দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৮ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গাঁজাসহ আটকের ঘটনায় গত বছর ১৪ অক্টোবর লোহাগড়ার আধুনগরের বাসিন্দা বেলাল হোসেনকে আট মাসের সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত । ওই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে গত সপ্তাহে তিনি রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেলাকে সাজা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তাও রুলে জানতে চেয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওই থানার ওসিসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, অন্য একটি মামলায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাতে বেলালকে গ্রেফতার করে পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৪ অক্টোবরের আদেশে দেখানো হয় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে বেলালকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে দুই পুরিয়া গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ তালিকায় তারিখ বলা হয় ১৩ অক্টোবর রাত ৯টা ৫ মিনিট। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, পুলিশের কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থাপন করে বাদিকে সাজা দেয়া হয়েছে, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।