বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন মেলায় দলীয় ব্যানার অপসারণ করায় যুবলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কান্তি চক্রবর্তী। এমপির মধ্যস্ততায় সালিশ বৈঠকে ইউএনও’র হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পেলেন না আজমিরীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতারা। বিষয়টি নিস্পত্তির পরেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে যুবলীগের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। রবিবার (১৪ জানুয়ারী) বিকেলে সাড়ে ৪টায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জে তিন দিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলা শুরু হলে মেলার মধ্যে এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় কয়েকটি ব্যানার লাগান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহŸায়ক মমিনুর রহমান সজিব।
ব্যানারে তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ছবি ব্যবহার করেন এবং এমপি আব্দুল মজিদ খানের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ছবি ব্যবহার করেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সকল দলীয় ব্যানার মেলা ও অফিস প্রাঙ্গণ থেকে অপসারন করা হয়।
বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কান্তি চক্রবর্তী মেলা পরিদর্শনে গেলে সেখানে উপস্থিত হয়ে উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক বাবুল রায় ও যুগ্ম-আহŸায়ক মমিনুর রহমান সজিবের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং হুমকি দেন। এক পর্যায়ে মেলায় থাকা দর্শনার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মেলা থেকে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, মেলার ভিতরে রাজনৈতিক কোন ব্যানার লাগানোর নিয়ম নেই। তাই তিনি ব্যনারগুলো অপসারন করেছেন। মেলায় ও অফিসের সামনে বড় বড় ব্যানার লাগানো হয় কাউকে না জানিয়ে। যেহেতু সমাপনী অনুষ্ঠানে এমপি মহোদয় আসবেন তাই ব্যানারগুলো সরানো হয়েছিল।
তিনি তাকে হুমকি ও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে জানান, মেলা সাময়িক বন্ধ রেখে আইনানুগ জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেন।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মমিনুর রহমান সজিব জানান, তিনি মেলার বাহিরে ব্যনার লাগিয়েছিলেন। এটি দলের ব্যানার নয়। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে তিনি ব্যানার তৈরি করেছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যানারগুলো ছিড়ে নষ্ট করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, গতকাল রাতে এমপি মহোদয়ের মধ্যস্থতায় ইউএনও মহোদয়ের হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমা প্রার্থরা করেন যুবলীগ নেতারা। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক মিমাংসা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পিআইও মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা জানান, প্রশাসন সরকারে কাজ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে। যারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বাজে আচরণ করেছে তারা পূর্বেও সরকারী কর্মকর্তার সাথে বাজে আচরন করার রেকর্ড রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।