পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ জেলায় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে ২০১৭ সালে ৮৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জব্দ সোনা আত্মসাৎ ও আটক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে এরপরও জেলায় পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রবণতা কমছে না। কোন না কোন ভাবে তারা অপরাধে জড়িয়ে বাহিনীর ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এ বাহিনীর কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ওসি, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল- যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি জানান, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সাবেক এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পুলিশ সুপার অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত বছর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অন্তত ৮৯ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ জনকে গুরুদন্ড এবং ৬৫ জনকে লঘুদন্ড দেয়া হয়েছে। দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং কয়েক জনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। এদিকে গত সপ্তায় মহেশপুরে বাস ডাকাতিসহ দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই এসআইসহ আট সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুরুতর অপরাধ তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তদন্ত দলের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। জব্দ সোনা আত্মসাৎ, জেলা ডিবি পুলিশের আটক বাণিজ্যসহ গুরুতর কয়েকটি ঘটনার তদন্ত করছেন তারা। ৪ জানুয়ারি কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশের ৮৯ সদস্যের বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মানবাধিকার কর্মীরা ইতিবাচক বলে মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।