Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত রাত থেকে ঘন কুয়াশা ও উত্তরীয় হিমেল হওয়ায় কুড়িগ্রামে ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুণ। পথ-ঘাট কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। 

উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সাথে যোগ দিয়েছে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া। শনিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা না মেলায় কাজে যেতে পারছে না নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তাসহ নদ-নদীর অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের মানুষজন। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রেহাই পাচ্ছেনা গবাদি পশুও। বোরো মৌসুম শুরু হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যান চালক আফজাল হোসেন জানান, ঠাণ্ডার মধ্যে গাড়ী নিয়ে বের হলেও এখন পর্যন্ত কোন কাজ জোটেনি। এমন ঠাণ্ডায় হাত-পা পর্যন্ত বের করা যায় না। এ অবস্থা কতদিন চলবে কে জানে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা ব্রিজ এলাকার কৃষি শ্রমিক শফিকুল জানান, জমিতে বোরো চারা লাগানোর কাজ করছি কিন্তু ঠাণ্ডায় থাকা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় কাজ করা সম্ভব না।
কনকনে ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে পারছে না মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও বৃদ্ধদের নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
অনেক হতদরিদ্র মানুষ ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হলেও কাজ জুটছে না তাদের।
কুড়িগ্রাম শহরের সওদাগর পাড়া এলাকার ফজিলা বেগম জানান, ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘরে বসে আছি। বাইরে বের হলে হাত-পাতে ঠাণ্ডা লাগে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সদর হাসপাতালে শিশু রোগীসহ প্রায় ২শতাধিক রোগী চিকিৎসা দিচ্ছে । পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসার সব ধরনের চেষ্টাই তারা করছেন।
আজ এ জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ