Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিদ্যুতের যে মূল্য পরিশোধ করছে তা ব্যয় ভিত্তিক নয় -নসরুল হামিদ

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের গ্রাহকরা যে মূল্য পরিশোধ করছে তা ব্যয় ভিত্তিক নয়। অহেতুক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে গ্রাহকের কষ্ট দেয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিগুলো আর্থিক লোকসান দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে খুচরা পর্যায়ে গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্যারিফ ঘাটতির জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ এমপি এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনায় তরল জ্বালানিভিত্তিক বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৯ শতাংশ থেকে ২০৪১ সালে এক শতাংশে নামিয়ে আনার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতায়নের জন্য সৌরশক্তিভিত্তিক বিৎ উৎপাদন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব বিদূৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে গ্যাস, এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং নিউক্লিয়ার এনার্জিভিত্তিক বিদূৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঠিক সিদ্ধান্ত, যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দূর্নীতি ও অনিয়ন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ডিপিডিসি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বিদূৎ বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিতে বিদ্যুৎ চুরি বন্ধের লক্ষ্যে সব এনালগ মিটার অপসারণ করে ডিজিটাল প্রি- পেইড মিটার স্থাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসাধারণের কষ্ট লাঘবে ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দ্রæততার সাথেই এ কাজটি সম্পন্নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান মূল্যহার হ্রাস বা বৃদ্ধি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়। হামিদ বলেন, কমিশন স্বতন্ত্র ও পেশাদারিত্ব নিয়ে এই কাজ করে থাকে। অহেতুক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে গ্রাহকের কষ্ট দেয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়। গ্রাহকগণ যে মূল্য পরিশোধ করছে তা ব্যয়ভিত্তিক নয়। বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিগুলো আর্থিক লোকসান দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় যাচাই বাচাই শেষে গ্রাহকদের আর্থিক সক্ষমতা বিচার করে গত ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের মাহফুজুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের বিচ্ছন্ন দ্বীপে বিদ্যুৎ সুবিধা পোঁছে দেয়ার জন্য সোলার ও বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ