বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর ব্যুরো : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডে খাতা মূল্যায়ন সঠিক হয়নি বলে মনে করছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন স্কুল সুত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সুত্র জানায়, গত বছরেও প্রকাশিত ফলাফলে ভুল ধরা পড়ায় খাতা ‘চ্যালেঞ্জে’ গিয়েছে তারা। চ্যালেঞ্জকারীরা বোর্ডের নিয়ম মেনে ইতোমধ্যে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে খাতা পুনঃমূল্যায়ন শেষে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফলাফল করা হবে বলে জানিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
প্রতি বছর জেএসসির খাতামূল্যায়নে ভুল থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। খাতা পুনঃমূল্যায়ন শেষে প্রতি বছরই অকৃতকার্য (এফ-গ্রেড) শিক্ষার্থীদেরকে ‘এ-প্লাস’ পেতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়ন শেষে ৬৩ জন ফেল করা শিক্ষার্থী ‘এ-প্লাস’সহ বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হন। ২০১৫ সালের খাতা পুনঃমূল্যায়নে ফলাফল পরিবর্তন হয় ১৪১ শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের ২৫ জন ‘এ’ প্লাস পেয়ে কৃতকার্য হয়। এছাড়া বিভিন্ন গ্রেডে পাস করা আরও ১০২ পরীক্ষার্থী ‘এ’ প্লাস পায়।
বোর্ড সূত্র জানায়, ৩১ ডিসেম্বর থেকে খাতা পুনমূল্যায়নের আবেদন নেয়া শুরু হয়। শেষ তারিখ ছিল ৬ জানুয়ারি রাত ১২ টা পর্যন্ত। এ বছর ১৬ হাজার ৩ শত ৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। শিক্ষার্থীদের কথা,‘খাতা পুনঃমূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর গণনা বা কোথাও নম্বর প্রদান বাকি আছে কিনা তা দেখা হয় বলে শুনেছি। যদি সম্পূর্ণ খাতায় লেখা উত্তরের ভিত্তিতে নম্বর দেয়া হতো তবে আরও অনেকে পাস করতো বলে বিশ্বাস করি।’ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘খাতা মূল্যায়নে ত্রুটি ধরা পড়লে ওই খাতা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে বোর্ডের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রশ্ন করা, খাতা পরীক্ষণ, নিরীক্ষণ ও অর্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় থেকে দুই বছরের জন্য দূরে রাখা হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।