Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে তৈরি হচ্ছে ইকোপার্ক

জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়ন

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন : জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোটুরিজের উন্নয়নে ফেনীতে তৈরি হচ্ছে ইকোপার্ক। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে হয়ে উঠতে পারে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় স্থান। ইকোপার্ক তৈরি হলে বিনোদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে এ এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাÐ বেড়ে যাবে। ফেনীর সামাজিক বন বিভাগ সূত্র জানায়, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন ও বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে বন বিভাগের নার্সারি কেন্দ্রে পাঁচ একর জায়গার মধ্যে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইকোপার্ক স্থাপন করছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন বিভাগ। বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় শাল, সেগুন, গর্জন, জাম, মেহগনি, লিচু, একাশিয়া, অর্জুন, আমলকি, বহেরা, হরিতকি, বাঁশ ও বেত গাছ বিদ্যমান রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিবেশের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ এলাকার শিয়াল, সজারু, বেজি, বনবিড়াল, কাঠবিড়ালি, বানর, টিয়া, তোতা, ঘু ঘু, ময়না, গুই সাপ, বাদুর, মাছ রাঙ্গা, কাক, শালিক, কাকাতুয়া, চড়–ই ইত্যাদি। এ এলাকায় পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্ত থেকে হনুমান ও বানরের আগমন ঘটে নিয়মিত। এসব পশুপাখির বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারলে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির বৃক্ষ পরিচর্যার বিশাল সুযোগ তৈরি হবে। এ জন্য ময়ুরের খাঁচা, বানরের শেড, সজারুর খাঁচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচা তৈরি, পানির ফোয়ারা নির্মাণ, গভীর নলক‚প স্থাপন এবং অফিস অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। সামাজিক বন বিভাগের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিনোদন-জীববৈচিত্র সংরক্ষণ-পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে। ইকোপার্ক নির্মিত হলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। সামাজিক বন বিভাগের ফেনীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। এ অর্থ বছরের মার্চের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের লক্ষ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিকর প্রভাব, হ্রাস, জলবায়ু পরীবর্তনের সহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি, ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের সমৃদ্ধ, ইকোপার্ক এলাকায় বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষসহ পশুপাখির খাবার উপযোগী বনজ ও ফলজ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঈধৎনড়হ ঝবয়ঁবংঃৎধঃরড়হ, জনসাধারণের বিনোদনের সুযোগ, বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদের জীনপুল সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন, স্থানীয় জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ