Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিদেশি ঋণ নির্ভরতা কমানোর তাগিদ

বিআইডিএসের সেমিনার

| প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিতে বিদেশি সহায়তার নির্ভরতা কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, ঋণ সহায়তার পরিবর্তে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে বেসরকারি খাতের বিপুল অংশগ্রহণ। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে গতকাল বক্তারা এ সব কথা বলেন। বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে উন্নয়ন অংশিদারিত্ব শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার সিনিয়র ফেলো সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. কেএস মুরশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংস্থাটির গবেষকরা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মূল প্রবন্ধে সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে বৈপরিত্য রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে বাংলাদেশ নি¤œ মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় রয়েছে। অথচ দেশটি একইসঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকাতেও রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈপরিত্য কাম্য নয় বলে তিনি মনে করেন।
স্বল্পোন্নত দেশের উন্নয়ন কৌশল জিইয়ে রেখে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সাজ্জাদুর রহমান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কৌশল ও নীতিতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, সামাজিক অন্তরর্ভূক্তি বাড়ানো, স্থিতিশীল সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামীতে চ্যলেঞ্জ হয়ে দাড়াবে বলে দাবি করা হয়েছে মূল প্রবন্ধে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঋণ সহায়তার পরিবর্তে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, উন্নয়ন বিনিময়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং কূটনীতির মধ্যে সমন্বয় সাধনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরেন তিনি।
প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে শ্রমঘন প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে সেমিনারে। তা ছাড়া ভ্যালু চেইন উন্নত করা, উন্নত অবকাঠামো তৈরি করা, গ্রহণযোগ্য মূল্যে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা ও বেসরকারি খাতে বিণিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে মূল প্রবন্ধে।
সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান আরও বলেন, বিশ^ অর্থনীতির সঙ্গে একীভূত হওয়ার ওপর জোর দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। স্থিতিশীল সুশাসন নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতামূলক দরিদ্রবান্ধব সরকার, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং রাজস্ব নীতির সংস্কারের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বিদেশী সাহায্য নির্ভও দেশ নয়। দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ এখন অনেক বেড়েছে। এর তুলনায় বিদেশি সহায়তা গ্রহণের পরিমাণ অনেক কম। দেশ মধ্যম আয়ের স্তরে পৌঁছেলেও দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মসূচির মৌলিক মানবাধিকার পূরণের পর্যায়ে রয়ে গেছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমান বৈদেশিক প্রতিশ্রæতির বিপরীতে অর্থছাড়ের পরিমাণ সংগতিপূর্ণ নয়। তাই বিদ্যমান সহায়তা কৌশল ও ছাড়ের বিষয়টি পূণর্মূল্যায়ন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

২১ অক্টোবর, ২০২২
১৮ অক্টোবর, ২০২২
১৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ