পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে আগস্টে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিশ্রুতির বিপরীতে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা ও দেশগুলোর অর্থ ছাড়ের পরিমাণ কমলেও বেড়েছে অনুদান। জুলাই থেকে আগস্ট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে ৮৬ দশমিক ৪২ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১৪ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে একই সময়ে ২৭ দশমিক ৮৭ বা ২৮ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় কমেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইআরডি জানায়, এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থছাড় দিয়েছে জাপান ৩২ দশমিক ৯ কোটি ডলার। এর পরেই রয়েছে চীন ১৮ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ভারত ৭ দশমিক ১ শতাংশ, বিশ্বব্যাংক ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, অন্যান্য ৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ১ দশমিক ৭১ শতাংশ, রাশিয়া ৪ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় দিয়েছে।
একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে মোট অনুদান এসেছে ৩০ দশমিক ৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৩০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী ৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। একই সময়ে গত বছর মোট বৈদেশিক অনুদান এসেছিল ৭ দশমিক ৩ কোটি ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক অনুদান ২৩ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও বেড়েছে। চলতি বছরে সুদ ও মূলধনসহ উন্নয়ন সহযোগীদের ২ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। গত বছর যা ছিল ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈদেশিক ঋণ ছাড় কমে যাওয়া ও অনুদান বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডি সচিব শরিফা খানকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোণ্ডঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), চীন, ভারত, এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), দক্ষিণ কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা), পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক), জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিআইজেড), জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (কেএফডব্লিউ), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ১২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছাড় হয়েছে ৭২ বিলিয়ন আর পাইপলাইনে রয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।