পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাবকে দেশের সাধারণ মানুষের ‘আস্থার প্রতীক’ হিসেবে অবিহিত করে ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ইনকিলাব হলো গণমানুষের পত্রিকা। খবর প্রকাশে দেশ ও জনগণের পক্ষ্যে আপোষহীন থাকায় এই পত্রিকার প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে তা নজীরবিহীন; পাঠকের এই বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করতে কর্মরত সাংবাদিকদের খবর লেখায় আরো সচেতন-দায়িত্বশীল হতে হবে।
খবর ছাপানোর আগে যাচাই বাছাই করে তথ্যের সত্ত্বতা নিশ্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। দেশের হাজারো পত্রিকার ভিড়ে এখনো পাঠকরা ইনকিলাবের খরব অন্যরকম গুরুত্ব দেন। পাঠকরা অন্যান্য পত্রিকা পড়েও ইনকিলাব না পড়া পর্যন্ত মনে স্বস্তি পান না। তিনি আরো বলেন, ইনকিলাব শুধু একটি পত্রিকা নয়; একটি আদর্শ। ইসলামী মূলবোধে বিশ্বাসী এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের চিন্তা চেতনা ধারন করে এগিয়ে চলেছে ইনকিলাব। আর এটিই হলো এদেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের স্তম্ভ। গতকাল মঙ্গলবার পর্যটন শহর কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত পাড়ের একটি অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো ও আঞ্চলিক প্রধানদের সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। আগামী দিনের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২০১৮ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। আগামী দিনের রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সার্বিক বিষয়ে ফায়সালা হবে এবছরই। এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব সাংবাদিকদের পেশাগত ভূমিকা পালনে আরো বেশী বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, জন্ম লগ্ন থেকেই ইনকিলাব দেশ-জাতির কথা বলে এদেশের গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। এ বিশ্বাস ও ভালোবাসা ধরে রাখতে ইনকিলাব সাংবাদিকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সারাদেশে ইনকিলাব এক দল দক্ষ অভিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং সুনামের অধিকারী, তারা সামাজিকভাবেও সুপ্রতিষ্ঠিত। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ইনিকলাবের সমৃদ্ধি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে। দৈনিক ইনিকলাব কোন দল বা গোষ্ঠীর নয়, এদেশের গণমানুষের কথা বলেই এর স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। আগামীতে ইনকিলাব সাংবাদিকদের দেশ ও জনগণের স্বার্থে সত্য প্রকাশে আরো সাহসী হতে হবে।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, এদেশের সংখ্যাঘরিষ্ট মানুষ দেশ প্রেম ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আর এটাই সত্যিকার বাংলাদেশের বাস্তবতা। ইনকিলাব মূল ধারার এই চেতনাকে লালন করে আসছে। দেশের সামাজিক ও রাজনীতিক পট পরিবর্তনে আলেম-মাশায়েখ পীর-বুর্জুগগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাই এইসব স্বীকৃত সামাজিক শক্তির সাথে সর্ম্পক উন্নয়নে আমাদের আরো বেশি যত্মশীল হতে হবে।
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে এনার্জিহাবসহ দেড় লাখ কোটি টাকার বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দ্বীপ সিঙ্গাপুরের মত বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহরে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই তথ্য সর্বপ্রথম দৈনিক ইনকিলাবই দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেছে।
সভায় অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সপ্যাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজি। এ ছাড়াও বক্তৃতা করেন দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউর রহমান সোহাগ, যশোহর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা মিজানুর রহমান তোতা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান বিশেষ সংবাদদাতা রেজাউল করিম রাজু। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ সংবাদদাতা ও চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম, বিশেষ সংবাদদাতা বরিশাল ব্যুরো প্রধান নাছিম উল আলম, বিশেষ বিশেষ সংবাদদাতা নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আনোয়ারুল হক আনোয়ার, বিশেষ সংবাদদাতা বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী, দিনাজপুর আঞ্চলিক প্রধান মাহফুজুল হক আনার, চট্রগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম সেলিম, খুলনা ব্যুরোর অফিস প্রধান আবু হেনা মুক্তি, সিলেট অফিস প্রধান ফয়সাল আমীন ও মহেশখালী সংবাদদাতা জয়নাল আবেদীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চীফ কো-অর্ডিনেটর রবিউজ্জামান। সম্মেলনে মনোমুগ্ধকর নায়াতে রসুল (সঃ) পরিবেশন করেন অধ্যাপক কাজী ইসমাঈল।
প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, মরহুম মাওলানা এমএ মান্নানের অনন্য সৃষ্টি দৈনিক ইনিকলাব। দৈনিক ইনকিলাব শুরু থেকে এদেশের আলেম মাশায়েখগণ তথা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের মূখপাত্রের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইনকিলাব এ অগ্রযাত্রা দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে। দেশের বরেণ্য সাংবাদিক ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বে ইনকিলাব সাংবাদিকরা গণমানুষের পক্ষে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সারাদেশের ইনকিলাবের সাংবাদিকরা গণমানুষের কাছে বিশ্বস্থ ও গ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা অভিজ্ঞ পরীক্ষিত।
রেজাউর রহমান সোহাগ বলেন, ইনকিলাব সম্পাদকের আপোষহীন ভূমিকায় দৈনিক ইনকিলাব সকল ষড়যন্ত্র ও সংকট মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ হাউজে আন্তরিকতা ও হূদ্যতাপূর্ণ যে পরিবেশ রয়েছে, যা অন্যকোন মিডিয়া হাউজে নেই। একারণেই ইনকিলাব বলিষ্ট অগ্রযাত্রা অবিচল। তিনি ইনকিলাব সাংবাদিকদের অবস্থান সূদৃঢ় করতে জনসম্পৃক্তার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো উপর গুরুত্বারোপ করেন। মিজানুর রহমান তোতা বলেন, ইনকিলাব সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা একই পরিবার একিভূত। আমাদের মধ্যে যে আন্তরিকতা রয়েছে তার দৃষ্টান্ত বিরল। এ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইনকিলাবের অগ্রযাত্রাকে আরো শানিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি। রেজাউল করিম রাজু বলেন, দৈনিক ইনকিলাব এদেশের গনমানুষের মূখপাত্র। ইনকিলাব সম্পাদকের সাহসী ভূমিকায় সারাদেশের সাংবাদিকরা উজ্জীবিত। আগামী দিনে ইনকিলাব অগ্রযাত্রা আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালনে আহবান জানান তিনি।
ব্যুরো ও আঞ্চলিক প্রধানদের সম্মেলনকে ঘিরে ইনকিলাব সাংবাদিকরা তাদের পরিবারের সদস্যসহ গত ৩ দিন ধরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন। সম্মেলন শেষে সাগর পাড়ের হোটেল সী ওয়ার্ডের মিলনায়তনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে প্রীতিভোজে মিলিত হন তারা। এসময় দৈনিক ইনিকলাব সম্পাদক সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কূশল বিনিময় করেন। ইনকিলাব পরিবারের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশ নেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট খুরশেদ আলম দুলাল এবং এ এম আলমগীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।