Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাক্ষীকে হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ ওসি ও এসআইকে আদালতে তলব

চরফ্যাশনে আসামি রেখে

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন থেকে : চরফ্যাশনে আসামী রেখে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। প্রায় ৩দিন হাজতে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই স্বাক্ষী। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে শুনানী শেষে চরফ্যাশন সিনিয়র জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিবলী নোমন খান তাকে মুক্তি দিয়েছেন। আবুল কাশেম চরকলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল গ্রামের আলী আহাম্মদ’র ছেলে। আদালত সূত্র সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
বাদী লোকমান হোসেন জানান, ২০১৫সনে তিনি শশীভূষণ থানায় সিআর ৩২৪/১৫ ধানকাটার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আদালতে চলমান আছে। গত রবিবার সকালে শশীভূষণ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) জাকির হোসন ওই মামলার ৩নং স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে থানায় নেন। পরে তিনি এবং চরকলমী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম থানায় গিয়ে আবুল কাশেমকে মামলার স্বাক্ষী বলে জানালেও শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তা শোনেন নি। তারা তাকে রোবববার আসামী হিসেবে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
আবুল কাশেমের শ্বশুর কদম আলী জানান, জেল হাজতে পাঠানোর পর তারা বিষয়টি আদালতকে অবগত করলে বিজ্ঞ আদালত গতকাল মঙ্গলবার ভোলা জেল হাজত থেকে আবুল কাশেমকে চরফ্যাশন আদালতে এনে শুনানী শেষে মুক্তি দিয়েছেন। এজন্য তারা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জানান, শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার এবং এসআইকে তলবের পর বিজ্ঞ আদালত বাদী,সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য, ওসি ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)’র জবান বন্দি শুনে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে অব্যাহতি দিয়েছেন তবে পুলিশের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা পরে জানা যাবে ।
আইনজীবি আশরাফ আলী নিরব জানান, মামলার আসামী কে এবং স্বাক্ষী কে? তা নিশ্চিত হয়ে আদালতে পাঠানো প্রয়োজন ছিল। স্বাক্ষীকে হাজতে পাঠিয়ে মানবাধিকার লঙন করা হয়েছে। শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার জানান, মামলায় আসামী এবং স্বাক্ষীর নামের মিল থাকায় এমনটি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ