বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি কেনাকাটার প্রায় ৮০ শতাংশ এখন ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি’র আওতায় এসেছে। অনলাইন ব্যবস্থায় ই-জিপি’র মাধ্যমে ১শ’ কোটি টাকার বেশি মূল্যের কেনাকাটা ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হারে পৌঁছেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ট্যাকনিকেল ইউনিট (সিপিটিইউ) এর মহাপরিচালক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতার ফলে ই-জিপি’র হার বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ তারা কেনাকাটায় এমন একটি ব্যবস্থা চায় যেটি শারীরিক, মানসিক প্রভাব ও ঝামেলা মুক্ত। তিনি বলেন, ই-জিপি’র সফলতা দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ই-জিপি বাস্তবায়নে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২ জুন ই-জিপি পোর্টালের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম দরপত্রের আহ্বান করা হয় ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি পাবলিক প্রাইভেট এক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল-২০০৮ এর আওতায় এর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ই-জিপি সিস্টেম ২০১২ সালে প্রথম কার্যকর করা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩শ’ টির মধ্যে ১২শ’ টি সরকারী কেনাকাটা প্রতিষ্ঠান ই-জিপি’র আওতায় এসেছে। এই পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার দরপত্র লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট আহ্বান করা দরপত্রের ১ দশমিক ৩৫ শতাংশের বেশি দরপত্র ই-জিপি পদ্ধতিতে আহ্বান করা হয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা।
ই-জিপি ব্যবস্থা এসকল দরপত্র বিক্রি, বাছাই ও নবায়নের মাধ্যমে ২শ’ ১৯ কোটি টাকা আয় করেছে। এছাড়া প্রায় ৪৫ টি ব্যাংক এখন এই ব্যবস্থার আওতায় কেনাকাটা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ই-জিপি সেবা প্রদানে মিপিটিইউ ২৪ ঘন্টা হেল্প ডেস্ক চালু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।