পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের বাড়তি দাম ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির গণশুনাতিতে মূল্য কমানোর প্রস্তাব উপেক্ষিত হয়েছে এবং মূল্যবৃদ্ধির আদেশ গণশুনানিভিত্তিক হয়নি। গত ২৩ নভেম্বর বিইআরসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই বর্ধিত দাম ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ও বিইআরসির কাছে আমাদের আবেদন, অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধির আদেশ বাতিল করা হোক। একইসাথে ক্যাবের প্রস্তাব অনুযায়ী, মূল্য হ্রাস করা হোক। এ জন্য তাদের সময় দিচ্ছি, ৮-১০ দিনের মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা সরকার না করে, তাহলে আমরা ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করব। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিইআরসির গণশুনানিতে তারা দাম কমানো যে সম্ভব, তা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিল। ফলে এখন দাম বাড়ানোয় গণশুনানি অর্থহীন বলে প্রমাণিত হলো। ৯ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর এ পর্যন্ত আটবার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসির জারি করা আদেশে অন্যায় ও অযৌক্তিক কারণ দেখানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুতের দাম কমাতে ১৫ দফা সুপারিশ ও বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোক্তাস্বার্থবিরোধী কার্যক্রম অনুসন্ধানের জন্য ভোক্তা প্রতিনিধি নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি তুলে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহŸায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণে ঘাটতি যৌক্তিক গণ্য করে বিআরইসি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। একি প্রহসন, নাকি প্রতারণার বিচার চায় জনগণ। বিদ্যুতে মোট অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে ১৩ হাজার ২২ কোটি টাকা। ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে এই অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধির পুরোটাই বহন করে ভোক্তারা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বিআরইসি ইচ্ছেমতো যা খুশি তা করতে পারে না। বিইআরসি ভোক্তা ও উৎপাদকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সমন্বয় করবে। তাদের একটি রেগুলেশন আছে- কীভাবে মূল্য নির্ধারিত হবে। কিন্তু সা¤প্রতিককালে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে গণশুনাতিতে ভোক্তাদের যুক্তিতর্ক, তথ্য-প্রমাণ উপেক্ষিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।