Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গ্রাজুয়েটরা দেশের সবচেয়ে আলোকিত অংশের গর্বিত সদস্য - প্রেসিডেন্ট

ইবি’র সমাবর্তন

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইবি রিপোর্টার : ‘গ্রাজুয়েটরা দেশের সবচেয়ে আলোকিত অংশের গর্বিত সদস্য। দেশ ও জাতির প্রতি রয়েছে তোমাদের অনেক দায়িত্ব ও অঙ্গিকার। তোমরা নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সাঙ্গে এ দায়িত্ব পালনে উন্মুখ বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তোমরা তোমাদের অর্জিত জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ঘটাতে পারলে দেশ অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত হবে এবং দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’ গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সলর মো. আবদুল হামিদ গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেছীনের মহাসচিব মাওঃ সাব্বির আহমেদ মমতাজী, ঝিনাইদহ ১ আসনের সাংসদ আব্দুল হাই, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ডিসি এস পি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১২ টা ২৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌছান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ উদ্বোধন করেন। পরে একই স্থানে পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিঞা বিজ্ঞান ভবন, শেখ হাসিনা হলের বর্ধিতাংশ, শেখ রাসেল হল এবং ফোয়ারার উদ্বোধন করেন। পরে বিকাল ৪ টা থেকে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান
দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের বিরতির পর সন্ধ্যা ৬টা তিন মিনিটে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট সংসদে প্রবেশ করার আগে বিউগল বাজানো হয়। এরপর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী, এমপিরা দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টেকে সম্মান প্রদর্শন করেন। স্বাগত বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জল রাখতে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূণরুপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। একাত্তরের শহীদানদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে। আসুন ধর্ম-বর্ণ- গোত্র নির্বিশেষে এবং দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মধ্যে দিয়ে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি। দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ১৫৭ পৃষ্ঠার ভাষণের বিশেষ অংশ পাঠ করেন। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ সাদা শার্ট লাল টাই এর উপর হাল্কা কালো স্যুট পড়ে সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন। এর আগে বিকেল ৩ টায় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটি’র উনিশতম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে ৪৫ ঘণ্টার আলোচনা হবে। তবে প্রয়োজনে এ সময়সীমা স্পিকার বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। বৈঠকে কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংসদের সিনিয়র সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদার। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল শুরু হওয়া ১৯তম অধিবেশন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ