শত বাধা, জুলুম-নির্যাতন ও হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে বর্তমান সরকার জনবিষ্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। ইতোমধ্যে তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবির কথা চিন্তা করেই এখন তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতে নির্দয়ভাবে দমন করছে। গতকাল (শনিবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করছে। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাংচুর, দখল, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারী করে বিএনপি’র সভা-সমাবেশ পন্ড করা অব্যাহত রেখেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে দাম্ভিকতা, রক্তপাত আর মিথ্যাচারকে পূঁজি করে দেশ চালাতে গিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে অনাচার তীব্র মাত্রায় উন্নীত করেছে। তাদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ যেন না ওঠে সেজন্য বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিলীন করার কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে সরকার। সেজন্যই তারা বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে। গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিবের যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারীর বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে-সরকার জনসমাগমকে ভয় পায়, জনগণকে অবজ্ঞা করে। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কোন দাবী বা অধিকারকে গ্রাহ্য করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবির কথা চিন্তা করেই বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোকে নির্দয়ভাবে দমন করছে। বিএনপি মহাসচিব ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশী হামলা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনাতেও তীব্র নিন্দা জানান।