পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। উত্তরের সাথে ঢাকা দক্ষিণের নতুন ওয়ার্ডগুলোতেও কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে দক্ষিণের দনিয়া, শ্যামপুর, ডেমরা, মাতুয়াইল ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন করে প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থীও আছেন। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীই বেশি হবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারনা।
জানতে চাইলে ৬০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমানে দনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাসান জাহাঙ্গীর ইনকিলাবকে বলেন, আমি বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মানুষের ভালবাসা পেয়ে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকার। এবারও ৬০ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করতে চাই। এখন মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়ার কথা জানিয়ে হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, মানুষের কাছে থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি।
৬১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমানে দনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুম্মন মিয়া বলেন, আমি তো দুই যুগ ধরে দনিয়া ইউনিয়নের মেম্বার ছিলাম। বিগত নির্বাচনে দনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবার নতুন করে সিটি কর্পোরেশন হওয়ায় কাউন্সিলর নির্বাচন করে বাকী জীবনটা জনগণের খেদমত করতে চাই। সাধারণ ভোটারদের মতে, কাউন্সিলর নির্বাচনে জুম্মন মিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী। তার জনপ্রিয়তার কাছে অনেকেই হার মানতে বাধ্য। বিএনপির মনোনয়নও তিনি পাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি হবেন আরও শক্তিশালী প্রার্থী। ৬১ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চান দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করবো। তা না হলে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করবো। ৬১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে জাকির হোসেন অনু অন্যতম। অনুর পিতা বাহাদুর মেম্বারের খ্যাতি রয়েছে এলাকায়। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে তিনিও শক্তিশালী প্রার্থী হবেন বলে ভোটারদের ধারনা।
কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ৫৮ নং ওয়ার্ডে আলমগীর, মাসুক, শফিক, শাহীন লাল, শিউলী ও খুশি আক্তার। ৫৯ নং ওয়ার্ডে ফজলুল হক ফজু, শহিদুল্লাহ,তাইজু, ও আমিন মোল্লা। জানা গেছে, ৫৯ নং ওয়ার্ড কদমতলী থানার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি অংশ। ঢাকা ম্যাচ, মেরাজনগর, মুহাম্মদবাগ মুলত এই তিনটি অংশে নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ এই ওয়ার্ডের সমস্যা অনেক। এলাকার সমস্যা সমাধানে যিনি কাজ করতে পারবেন তাকেই এলাকাবাসী ভোট দিতে বিজয়ী করবে। এই এলাকায় আওয়ামী লীগ থেকে একাধীক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন, খোরশেদ আলম বাবু (বাবু মাস্টার), শফিকুল ইসলাম খান, বিএনপি থেকে আসলাম মোল্লা, খোকন আহমদে, জাতীয় পার্টি থেকে হাজী মোহাম্মদ হোসেন মিয়া ,ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ফিরোজ আশরাফীর নাম শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী হিসাবে ৬০নং ওয়ার্ডে ইউসুফ মেম্বার ও মানিক মেম্বার, জামশেদুল আলম শ্যামল, ৬২নং ওয়ার্ডে সৈয়দ আহমেদ, মোহাম্মদ আমির হোসেন, ৬৩ নং ওয়ার্ড মোঃ সোহেল আহমেদ, ফয়সাল হেদায়েত মো সৈকত পন্ডিত, ৬৪নং ওয়ার্ডে আহসান উল্লাহ্ বক্স শিমু, ইসমাইল ভূঁইয়া তুহিন, ৬৫ নং ওয়ার্ডে মঞ্জুরুল ইসলাম রানা, হাজী সানাউল্লাহ, ৬৬নং ওয়ার্ডে নূরু ভূঁইয়া, আকবর হোসেন নান্টু, মোঃ মনির মুন্সী, ৬৭ নং ওয়ার্ড মোঃ সেলিম রেজা, ৬৮নং ওয়ার্ড মোঃ আনিসুজ্জামান, ৬৯নং ওয়ার্ড আব্দুল হাই ভূঁইয়া, ৭০ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ ইকবাল মেম্বার, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬০,৬১,৬২ নং ওয়ার্ডে শায়েলা বেগম মম্বারের নাম শোনা যাচ্ছে।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখছেন। বিশেষ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সিটি কর্পোরেশন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এলাকার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন। এজন্য তারা এমন কাউকে কাউন্সিলর হিসাবে বেছে নিতে চান যিনি এলাকার উন্নয়নে তৎপর থাকবেন। দনিয়া এলাকার বাসিন্দা শাহাদত হোসেন বলেন, আগে ইউনিয়ন পরিষদ ছিল, এখন সিটি কর্পোরেশন হয়েছে। এখন তাকেই ভোট দিবো যিনি এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সিটি কর্পোরেশন হওয়ায় নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে, সে বিষয়ে যিনি বাড়িওয়ালাদের পক্ষে কাজ করতে পারবেন তাকেই ভোট দিবো বলে জানান এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।