Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালাস পাওয়া আ.লীগ নেতা তোরাব আলী মারা গেছেন

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ মামলা

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : পিলখানা হত্যা মামলায় হাই কোর্ট থেকে খালাস পেলেও মুক্তির আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন ঢাকার হাজারীবাগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলী। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তোরাব আলী। 

গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে তিনি খালাস পান। তবে খালাস পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি তিনি। গত বুধবার অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। ২০০৯ সালের ফের্রুয়ারিতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জনকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় বহুল আলোচিত এ মামলায় বিডিআর জওয়ানদের পাশাপাশি অভিযুক্ত হন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তোরাব আলী। বিডিআর থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিদ্রোহীদের সমর্থনে মিছিল ও সহযোগিতার অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এ মামলায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে ২০০৯ সালে তোরাব আলী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কারারক্ষী মো. হানিফ গতকাল জানান, আদালতের রায়ে তোরাব আলীর খালাস পাওয়ার অর্ডার কারাগারে এসে পৌঁছায়নি। অসুস্থ হয়ে পড়লে তোরাব আলীকে গত বুধবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
গতকাল ভোর ছয়টায় তিনি মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. বাবুল মিয়া জানান, তোরাব আলীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আপিল রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দুই শ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। সাজা থেকে খালাস পান ৪৯ জন। এর মধ্যে তোরাব আলীও ছিলেন। ঢাকার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি তোরাব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানতে পারেন। কিন্তু তিনি তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি। তোরাব আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ লিটন ওরফে লেদার লিটন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তরের সাবেক সহসভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। ঢাকার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির কয়েক ডজন মামলার আসামি লেদার লিটন পুলিশের খাতায় পলাতক আছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ