স্টাফ রিপোর্টার : দেশে লিভার প্রতিস্থাপনসহ সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বা সংযোজনের জন্য অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো ও আর্থিক প্রণোদনা পেলে দেশেই স্বল্প ব্যয়ে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গত বৃহষ্পতিবার রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) গ্যালারি-১ এ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ‘কন্টিনিউইং মেডিকেল এডুকেশন উপ-পরিষদ থ্রম্বোলাইসিস ফর স্ট্রোক পেসেন্ট অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মাত্র দুটি হাসপাতালে মোট ৪টি সফল লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দেশে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমালোচনা ও আইনি জটিলতার কারণে বর্তমানে লিভার প্রতিস্থাপন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বা সংযোজনের জন্য বিশেষ সমস্যা হলো আইনি কাঠামো, রোগীর আর্থিক অসচ্ছলতা, অঙ্গদানকারীর অভাব ও সামাজিক অজ্ঞতা।
সেমিনারে ‘থ্রম্বোলাইসিস ফর স্ট্রোক পেসেন্ট-ইমপ্রæভিং পেসেন্ট আউটকাম’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট সাফফোক হসপিটালের কনসালটেন্ট স্ট্রোক ফিজিশিয়ান ডা. এ এফ এম আজিম।
বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) স্নায়ুরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ কে এম আনোয়ার উল্লাহ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্টস অব বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ডা. আবু নাসের রিজভি।
‘লিভার ট্রান্সপ্লান্ট : প্রেজেন্ট স্ট্যাটাস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন প্রফেসর ডা. জুলফিকার রহমান খান। বিশেষজ্ঞ মতামত রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি বিভাগের ডা. বিধানচন্দ্র দাস ও ডা. সাইফুদ্দিন।
বিএসএমএমইউ;র প্রো-ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সেমিনারের সঞ্চালনা করেন বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, সরকারি পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা পেলে বিদেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম খরচে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।