Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চলনবিলাঞ্চল শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে : চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের জনপদ কনকনে শীতে কাঁপছে। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। দিনমজুর শ্রেণির লোকজন কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সেই সঙ্গে শৈতপ্রবাহে মানুষের জীবন ওষ্টাগত। গত কয়দিন ধরেই হিমেল বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় এক প্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
দেখা দিয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-বালাই। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়দিন ধরেই উঠানামা করছে তাপমাত্রা। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে এবং শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। আর বিপাকে পড়েছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতবস্ত্র বিক্রি। গত দুই দিন ধরে এ অঞ্চলে দিনের বেলায় সূর্য দেখা গেলেও বাতাস অনেক ঠান্ডা হওয়ার কারণে হাত, পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে মানুষের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ দিনের সূর্যের মুখ দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রচন্ড শীতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু পাখিও ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। রাতে বৃষ্টির ন্যায় ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে। দিনের বেলাতেও মাঝে-মধ্যে হেড লাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহনকে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
চাটমোহর উপজেলার শীতার্তদের শীত নিবারণের জন্য ইতোমধ্যে ৫ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতেও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা বিশাল সমুদ্রে শিশির বিন্দুর মতো। এক কথায় শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ