Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারে ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মুরাদপুর ফ্লাইওভারের উপর থেকে দ্রæতগতিতে নামছে বাস-ট্রাক-অটোরিকশা-মাইক্রো-প্রাইভেট কার। আর উল্টো দিক থেকে উপরেও উঠছে যানবাহন। মুখোমুখি হয়ে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ দৃশ্য মুরাদপুর ফ্লাইওভারের ২নং গেইট এলাকায়। লুপ নির্মাণের জন্য ফ্লাইওভারের একপাশ বন্ধ করে অন্যপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি চালকরা বলছেন, ফ্লাইওভারের উপর থেকে নামার সময় হঠাৎ সামনে গাড়ি এসে পড়ে। আবার সড়ক থেকে ফ্লাইওভারে উঠতে গিয়ে প্রথমে বোঝা যায়না উপর থেকে কোন গাড়ি আসছে কিনা। কিছুদূর উঠার পর দেখা যায় দ্রæতগতিতে আসছে কোন বাস বা ট্রাক। উঠানামার পথে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সেখানে নেই কোন ট্রাফিক পুলিশও। এ অবস্থায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিডিএ ফ্লাইওভারের একপাশ বন্ধ করে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। কিন্তু যেপাশে বিপরীতমুখী যানবাহন চলাচল করছে নেই কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই চলছে যানবাহন।
মুরাদপুর ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও এখনও চলছে লুপ নির্মাণ কাজ। ফলে ফ্লাইওভারের একপাশ বন্ধ রেখে অন্যপাশে যানবাহন চলাচল করা হচ্ছে। এ কারণে ফ্লাইওভারের ২নং গেইট অংশে প্রায় যানজট হচ্ছে। ফ্লাইওভারের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। ফ্লাইওভারে দ্রæতগতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক মাস আগে একটি বাসের ধাক্কায় ফ্লাইওভারে ২ মোটর সাইকেল আরোহী মারা যায়। ৪৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি গত ১৭ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হয় র‌্যাম্প ও লুপ নির্মাণের কাজ। উঠানামার ব্যবস্থা না থাকায় ফ্লাইওভারটিতে যানবাহন চলছে সীমিত আকারে।
এদিকে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ফ্লাইওভারের র‌্যাম্প দুই ইঞ্চি দেবে ফাঁক হয়ে গেছে। সেখানে র‌্যাম্প সংযোজনের পর ফ্লাইওভার দিয়ে যানবাহন চলাচল আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে উল্টোপথে গাড়ি চলাচলের প্রবণতাও বেড়েছে। মুখোমুখি গাড়ি চলাচলের কারণে ফ্লাইওভার এখন বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উল্টোপথে গাড়ি চলাচল ঠেকাতে মাঝখানে ডিভাইডার কেটে দিচ্ছে সিডিএ। তবে এটাকে সমাধান নয় বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সিডিএ’র উদ্যোগে বহদ্দারহাট জংশনে এ ফ্লাইওভার নির্মাণকালে গাডার ধসে ১৪ জন মারা যায়। আহত হয় আরও ৩০ জন। পরে ফ্লাইওভারের বাকি কাজ সম্পন্ন করে সেনাবাহিনী। ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও সেখানে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। এখন ফ্লাইওভারে উঠানামার লুপ নির্মাণ হওয়ায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। উল্লেখ্য, কোনরকম সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই সিডিএ’র উদ্যোগে নির্মিত এসব ফ্লাইওভার নগরীর ক্রমবর্ধমান যানজট নিরসনে কোন ভূমিকা রাখছে না। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, ছোট ছোট এসব ফ্লাইওভারের কারণে নগরীতে যানজট আরও বাড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ